নাগদানা গাছ (সেন্টুনাইন, কীটমারী, যমনী)
প্রচলিত নাম : সেন্টুনাইন, কীটমারী, যমনী
ইংরেজী নাম : Worm wood
বৈজ্ঞানিক নাম : Artemisia maritima Linn.
পরিবার Compositae
পরিচিতি : নাগদানা একটি সুগন্ধযুক্ত গুল্ম যা ৯০-১২০ সেমি উঁচু হয়। নাগদানা গাছের গোড়ার দিকটায় অনেক শাখা-প্রশাখা হয় এবং পাতাগুলো রোমশ, মূল কাষ্ঠগৰ্ভ। পাতা অপেক্ষাকৃত ছোট, ৩ সে.মি. এর অধিক বড় হয় না। হলুদ রঙের ফুল হয়।
বিস্তৃতি : আদিনিবাস কাশ্মীর থেকে ঝুমায়ুন পর্বতমালার ৭০০০-৯০০০ ফুট উঁচুতে জন্মে। চীন ও থাইল্যান্ডে চাষ হয় বিধায় আমাদের দেশেও চাষের সম্ভাবনা আছে।
ব্যবহার্য অংশ : শিকড়, উঁটা ও পাতা।
ঔষধি ব্যবহার :
১) অগ্নিমান্দ্য, আধান, উদররোগ এবং সর্ববিধ ক্রিমিরোগে প্রযোজ্য। রাতে নাগদানা খেয়ে সকালে বিরেচন নিলে সকল ক্রিমি মরে বের হয়ে যায়। পুরাতন রোগ হলে প্রথম মাত্রা সেবনের সাতদিন পর পুনরায় আর এক মাত্রা নিতে হয়। আয়ুর্বেদ সংহিতায় উল্লেখ আছে যে, মাসিকের প্রথম ৩ দিন ৩ গ্রাম পরিমাণ নাগদানার শিকড় বাটা শরবত করে খেতে হয়। এভাবে কয়েকটা ঋতুতে ব্যবহার করলে আর গর্ভধারণ করে না।
২) দাদ চুলকনা, ছুলি হলে নাগদানা পাতার রস আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর সেটা ধুয়ে ফেলতে হয়। এভাবে ২-২ ওটা ব্যবহার করলে রোগ নিরাময় হবে। কর্ণশূলে পাতার রস গরম কর ২-৪ ফোটা কানে দিলে উপশম হয়।
৩) যে-বয়সে ঋতু বন্ধ হওয়ার কথা নয়, সে-বয়সে ঋতু বন্ধ হয়ে গেলে নাগদানার পাতা বা ডাঁটার এক চা চামচ রস আধ কাপ পানিতে মিশিয়ে ২-৩ দিন খেলেই ঋতু পরিস্কার হয়ে যায়।
৪) মূত্রকৃচ্ছে এক কাপ পানিতে নাগদানা পতার রস ২০-২৫ ফোটা মিশিয়ে সকালে-বিকালে দুবার খেলে ঐ কষ্টটা আর থাকবে।
৫) বাংলাদেশের জাতীয় ইউনানী ফর্মুলারী ১৯৯৩-তে একটি ওষুধ যথা এত্রিফল দীদান। ওষুধটি আন্ত্রিক ক্রিমি, কেঁচো ক্রিমিনাশক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।