নল গাছ (মহানল, বড়নল, গহননল)
নল
প্রচলিত নাম : মহানল, বড়নল, গহননল
ইংরেজী নাম : Arundo
বৈজ্ঞানিক নাম : Arundo donax Linn.
পরিবার। : Graminae
পরিচিতি : গুল্মসদৃশ, লম্বা, বলিষ্ঠ, খাড়া, শাখাযুক্ত বহুবর্ষজীবী ইক্ষুর মতো দেখতে ঘাস যা ৮ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এটি ভূমধ্যসাগরের দেশজ হলেও এদেশে বুনো বা আবাদি অবস্থায় দেখা যায়। পানির কাছাকাছি জন্মে। রইজোম সবসময় কন্দিত, গড়িয়ে চলে, স্থল, গাঁটযুক্ত দেহ গঠন করে। তৃণকাণ্ড ফাকা ১২-৭ মি.মি. পুরু প্রচীরবিশিষ্ট, বহু গাঁট বিশিষ্ট। পর্বমধ্য ১২-৩০ সে.মি. দীর্ঘ হতে পারে। বাইরের কোষ সিলকাযুক্ত, খুব শক্ত, ভঙ্গুর মসৃণ চকচকে বাইরের দিক যা পরিণত বয়সে হালকা সোনালি হলুদ হয়। পাতা স্পষ্টরূপে ২ স্তরের, রৈখিত-বর্শাফলকাকৃতি, পত্রসীথস্থায়ী; প্যানিকল ৩০-৬০ সে.মি. দীর্ঘ, খাড়া, পুমসদৃশ শিল্পি বেশবিশিষ্ট, মাখন রঙের বা খয়েরি, স্পাইকলেট ৮-১৫ সে.মি. লম্বা, ২-৭ পুস্পী, ফল আয়তাকৃতি।
ব্যবহার্য অংশ : মূল ও পাতা।
ঔষধি ব্যবহার :
১) মহানল অধিক বীর্যযুক্ত এবং পারদ সংস্কারে ব্যবহৃত হয়।
২) মহানল অত্যধিক মধুর, বীর্যবর্ধক ও অল্প কষায় রসযুক্ত। মহানল নল অপেক্ষা অধিক বীর্যশালী এবং পারদ সংস্কারের কাজে লাগে।
৩) মূলের ক্বাথ- ঘর্মস্রাবক, মূত্রকারক, আর্তবজনন, শোথহর এবং স্তন্য হ্রাসকারক। মুরে অ্যালকোহলিক নির্যাস রক্তচাপ কমায় এবং খিচুনি নিবারক। মূলের ক্বাথ পুটিস হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
৪) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে অরান্ডো নামে পরিচিত এ ওষুধ সর্দি, কাশি প্রভৃতি অবস্থায় প্রয়োজ্য। নাসারন্ধ্রে এবং মুখবিভরে ছাদে বিরক্তিকর চুলকানিসহ হে ফিভার (Hay fever) শুরু হয়। প্রসাবে জ্বালা, লাল রঙের তলানি, পদদ্বয়ে দুর্গন্ধময় ঘর্ম অরান্ডো প্রয়োগের ক্ষেত্রকে ইঙ্গিত করে।
রাসায়নিক উপাদান : এর পাতায় ইনডোল বেস, গ্রাশীন (সেনাক্সিন), ডোনাক্সারিন, বুফোন্টেনিন আছে।।