Ceylon ironwood নাগেশ্বর চাপা
এই গাছ প্রায় ১০০ ফুট লম্বা হয়। গাছের গুঁড়ির পরিধি প্রায় ২ মিটার হতে পারে। এদের ডাল বেশ নরম. বাকল ০.৫ ইঞ্চি পুরু এবং লালচে। এদের কাণ্ড থেকে আঠা পাওয়া যায়। এই গাছের কাঠ বেশ শক্ত হয়। কাঠের রঙ লাল। এটি ধীর গতিতে বড় হয়। এটি শোভা বর্ধক গাছ। এর পাতা ও ফুল উভয়ই সুন্দর। ফুলে সুগন্ধ আছে। এটি এক প্রকার শোভাবর্ধক, চিরসবুজ গাছ। এর পাতা ও ফুল উভয়ই সুন্দর। পাপড়ির রঙ দুধ-সাদা ও একটু কোঁকড়ানো। নাগেশ্বর ফুলের পুংকেশরগগুলো সোনালি, যা ফুলের সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সব মিলিয়ে এই ফুল বর্ণে-গন্ধে অনন্য। নাগেশ্বর ফুল সবচেয়ে বেশি ফোটে বসন্তকালে। তবে বর্ষায়ও ফুল ফুটতে দেখা যায়। ফুলে সুগন্ধ আছে।
Alstonia ছাতিম
ছাতিমের কষ অনেকে ওষুধরূপে ঘা বা ক্ষতে লাগিয়ে থাকেন। ছাতিম গাছের বাকল বা ছাল শুকিয়ে নিয়ে ওষুধের কাজে ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘস্থায়ী অতিসার এবং আমাশয়ে এটি অত্যন্ত উপকরী। জ্বর ধীরে ধীরে নামায় বলে ম্যালেরিয়াতেও উপকারী। অন্যান্য ওষুধে জ্বর নামার সময় খুব ঘাম এবং পরে যে দুর্বলতা হয়, ছাতিমে তা হয় না। চর্মরোগেও ছাতিম ফলপ্রদ। স্নায়ুর শক্তিসূত্রে অসাড়তা আনে বলে রক্তের চাপ কমাতে ছাতিম উপকারী। কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে যে অ্যাণ্টিবায়োটিক কোন গুণ বা শারীরিক ক্রিয়ার সাহায্য করার কোন শক্তি ছাতিমের নেই।
n
nছাতিমের কাঠ দিয়ে খুব সাধারণ মানের আসবাবপত্র, প্যাকিং কেস, চায়ের পেটি, পেনসিল এবং দেশলাইযের কাঠি তৈরী হয়। পুরাকালে ছাতিমের কাঠ দিয়ে শিশুদের লেখার জন্য তক্তা বানান হত। মনে করা হয় সেই কারণেই বৈজ্ঞানিক নামে “এলস্টোনিআ”-এর পর “স্কলারিস” কথাটি যোগ করা হয়েছে। ছাতিমের হালকা কাঠ দিয়ে শ্রীলংকায় কফিন বানানো হয়। ছাতিম গাছের মূলের কাছাকাছি অঞ্চলের কাঠ অনেক হালকা ও সাদা, এটি বোর্নিওতে জালের ভাসানী-খন্ডরূপে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এটি দিয়ে চামচ, কর্ক ইত্যাদি বানানো হয়।
Aquilaria malaccensis আগর
আগর, (Aquilaria malaccensis) এক প্রকারের সুগন্ধি প্রদায়ক উদ্ভিদ। এটি Thymelaeaceae পরিবারের অন্তর্গত। অন্যান্য স্থানীয় নামের মধ্যে Aloe wood, Eagle wood, Aguruh, Krsnaguruh উল্লেখযোগ্য। উচ্চতা সাধারণত ৬০ থেকে ৮০ ফুট হয়ে থাকে। ০.৬-২.৫ মিটার ব্যাসের হয়ে থাকে। পাতা পাতলা ও চর্ম, উজ্জ্বল সবুজ।এটি দক্ষিণ পূর্ব-এশীয় প্রজাতি।
n
n
Calendula ক্যালেন্ডোলা
Carrot গাজর
গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড।[৩] বিশেষ করে শীতকালীন এই সকল সাধারণ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সব চাইতে ভালো সবজি হচ্ছে এই গাজর। গাজরের ভিটামিন ও মিনারেলস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যার ফলে সর্দি-ঠাণ্ডা ও কাশি থেকে মুক্তির জন্য আমাদের দেহই কাজ করে থাকে। এছাড়াও নিম্নে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকার সম্পর্কে আলোচনা করা হল
Coleus Blumei Brilliancy কৈলাস
n
nকৈলাসের শুধু যে বাহ্যিক সৌন্দর্য রয়েছে তা নয়, এর থেকে নানা ধরনের ওষুধও তৈরি হয় পৃথিবীর নানা দেশে। আয়ুর্বেদে এর ব্যবহার আছে হার্টের অসুখ, বুক ব্যথা, ফুসফুস, পরিপাকতন্ত্র, নিদ্রাহীনতা ইত্যাদি রোগে। কৈলাস গাছে ‘ফরস্কোলিন’ রসায়ন থাকে যা পেশীকে শিথিল করে, ব্লাড প্রেশার কমিয়ে দেয়, থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ করে বিশেষত যখন কম কাজ করে গ্রন্থি, চক্ষু চিকিৎসায় ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিদেশের বাজারে এর ক্যাপসিউল কিনতে পাওয়া যায়। উপমহাদেশে কৈলাসের জনপ্রিয়তা বাড়ছে আমেরিকা ইউরোপের মতই। এর ঔষধি গুণ সম্পর্কে গবেষণা আরো অগ্রসর হলে আমরা স্বল্পমূল্যে এর সুবিধাগুলো পাবো।
n
n
কৈলাসকে এক ধরনের বেডিং প্লান্ট বলা যায় যা পাবলিক গার্ডেন, রাস্তার পাশে বা বাড়ির সামনের দিকের উঠানে লাগানো হয়। এই গাছ খাড়া, ঝোপালো বা লতাজাতীয় হতে পারে। বিভিন্ন রকম রং ও উচ্চতার জন্য একে নির্বাচিতভাবে শোভা বর্ধনের জন্য লাগানো হয়।
nElephant Ear Plants হাতির কান
আংশিক ছায়ায় একটি সামান্য আম্লিক মাটিতে হাতির কান বৃদ্ধি করুন। বন্যভিত্তিক জলাভূমি উদ্ভিদ হিসাবে , হাতির কান গাছের মত প্রচুর পানি। এই তাদের ভিজা এলাকায় জন্য ভাল পছন্দ করে তোলে যেখানে বাড়ির মালিকদের সাধারণত উপযুক্ত উদ্ভিদ খোঁজে কষ্ট আছে।
n
nউদ্যান মধ্যে, হাতির কান তাদের বড়, হৃদয়যুক্ত আকৃতির পাতা জন্য উত্থিত হয় যদিও এই পাতাগুলি 3 ফুট লম্বা এবং 2 ফুট চওড়া প্রশান্ত মহাসাগরে পৌঁছতে পারে, উত্তরগুলিতে তারা ছোট থাকবে, তবে এখনও চিত্তাকর্ষক। গাছপালা উষ্ণতা 8 ফুট লম্বা হতে পারে; উত্তরে, ২-৩ফুট উচ্চতা বেশি হয় (ক্রমবর্ধমান অবস্থার উপর নির্ভর করে)
Moon Cactus মুন ক্যাক্টাস
ইংরেজী নাম: মুন ক্যাকটাস। বাংলায়: রঙিন ক্যাকটাস। এই রঙিন ক্যাকটাস দিয়ে করা হচ্ছে ‘ডিস গার্ডেন’। ব্যবহৃত হচ্ছে গিফট আইটেম বা উপহারের সামগ্রী হিসেবে। অভিজাত বাড়িতে প্রতিনিয়ত কদর বাড়ছে মরুর দেশের নান্দনিক বাহারি ক্যাকটাস গাছের। ক্যাকটাস ভালোবাসেন না- এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। কারণ অল্প পরিশ্রম এবং স্বল্প পানিতে এ গাছ তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। প্রতিদিন পানি দেওয়ার ঝামেলাও নেই। এক চিলতে রোদ পেলেই এ গাছ ছেয়ে যেতে পারে শখের অন্দর।