এইচডি হেলথ অনলাইন এ্যাসিস্ট্যান্ট পলিসি

এইচডি হেলথ কতৃক প্রকাশিত। তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২২

অধ্যায়- ১

পলিসির নাম, পরিধি ও সংজ্ঞা

১.১ নাম, প্রয়োগ, প্রবর্তন ও সংশোধন

এইচডি হেলথ কতৃক “অনলাইন এ্যাসিস্ট্যান্ট পলিসি” প্রণয়ন করা হলো।

১.১.১ নাম ও সংক্ষিপ্ত নামঃ এ পলিসি “এইচডি হেলথ অনলাইন এ্যাসিস্ট্যান্ট পলিসি” নামে অভিহিত হবে।  সংক্ষেপে “অনলাইন এ্যাসিস্ট্যান্ট পলিসি” নামে অভিহিত হবে।

১.১.২ প্রয়োগঃ সমগ্র পৃথিবী।

১.১.৩ প্রবর্তনঃ এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

১.১.৪ সংশোধনঃ এইচডি হেলথ কর্তৃপক্ষ “এইচডি হেলথ অনলাইন এ্যাসিস্ট্যান্ট পলিসি” যেকোন সময় পরিবর্তন, পরিমার্জন ও বাতিল করার অধিকার রাখে।

১.২ সংজ্ঞাঃ 

১.২.১ অনলাইন এ্যাসিস্ট্যান্টঃ এইচডি হেলথ কতৃক নিয়োগ প্রাপ্ত অনলাইন সেন্টার পরিচালক ও অনলাইন সেন্টার কতৃক নিয়োগ প্রাপ্ত কেসটেকারদের একত্রে “অনলাইন এ্যাসিস্ট্যান্ট” নামে অভিহিত করা হয়।

১.২.২ অনলাইন সেন্টারঃ এইচডি হেলথ কতৃক নিয়োগ প্রাপ্ত “অনলাইন সেন্টার”

১.২.৩ কেসটেকারঃ অনলাইন সেন্টার কতৃক নিয়োগ প্রাপ্ত “অনলাইন এ্যাসিস্ট্যান্ট”

১.২.৪ সেন্টার পরিচালকঃ এইচডি হেলথ কতৃক নিয়োগ প্রাপ্ত অনলাইন সেন্টারের মালিককে “সেন্টার পরিচালক” বলা বলা হয়। কেসটেকার যদি অনলাইন সেন্টারে বা ডাক্তারের চেম্বারে বসে কাজ করেন তাহলে নিজেকে “অনলাইন এ্যাসিস্ট্যান্ট” বলে পরিচয় দিবেন এবং নিজের বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে বসে কাজ করেন তখন সেন্টার পরিচালকের প্রতিনিধি হিসাবে নিজেকে “সেন্টার পরিচালক” বলে পরিচয় দিবেন।

১.২.৫ হসপিটালঃ ভার্চুয়াল হাসপাতাল বুঝাবে, এখানে রোগী ভর্তি করে রাখা হয় না, এর মাধ্যমে রোগীদের এপয়েন্টমেন্ট, ডাটামেনেজমেন্ট ও প্রেসক্রিপশন করা হয়।

অধ্যায়- ২

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

২.১ লক্ষ্যঃ

অনলাইন সেন্টার পরিচালনার মাধ্যমে চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষার্থীদের অনলাইনে নিয়মিত থিউরি ও প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেইনিং করানোর মাধ্যমে দক্ষ ডাক্তার হিসাবে গড়েতোলা এবং শহর ও গ্রামের রোগীদের জন্য অনলাইনে উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।

২.২ উদ্দেশ্যঃ

২.২.১ অনলাইন সেন্টার পরিচালনায় স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

২.২.২ অনলাইন সেন্টারের মাধ্যমে রোগী ও ডাক্তারের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করা।

২.২.৩ অনলাইন সেন্টারের মাধ্যমে রোগীদের কেন্দ্রীয় ডাটাবেস তৈরি করে ধারাবাহিক চিকিৎসা হিস্টোরি আরকাইভে সংরক্ষণ করা।

অধ্যায়- ৩

রোগীকে প্রদেয় সেবা

৩.১ এপয়েন্টমেন্টঃ

৩.১.১ রোগীরা অনলাইন সেন্টারে এসে দেশ বিদেশের খ্যাতনামা চিকিৎসকদের নিকট চিকিৎসার জন্য তিন ক্যাটাগরিতে এপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন,

  • ১. অনলাইন ভিজিট
  • ২. চেম্বার ভিজিট
  • ৩. মেডিকেল বোর্ড ভিজিট।

৩.১.২ অনলাইন ভিজিটঃ এ ক্যাটাগরিতে এপয়েন্টমেন্ট নেয়ার পর রোগী চাইলে নিজের পছন্দমতো অবস্থান বা অনলাইন সেন্টার থেকে ভিডিও কলে চিকিৎসা নিতে পারবেন।

৩.১.৩ চেম্বার ভিজিটঃ এ ক্যাটাগরিতে এপয়েন্টমেন্ট নেয়ার পর রোগী ডাক্তারের চেম্বারে বা হসপিটালে গিয়ে সরাসরি চিকিৎসা নিতে পারবেন।

৩.১.৪ মেডিকেল বোর্ড ভিজিটঃ এক সাথে দুই বা ততোধিক চিকিৎসকের নিকট এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। ৩.১.২ ধারার মতো অনলাইনে চিকিৎসা নিতে পারবেন এবং ৩.১.৩ ধারার মতো যেকোনো একজন ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে অন্য ডাক্তারদের সাথে অনলাইনে চিকিৎসা নিতে পারবেন।

৩.২ ভিজিটঃ

৩.২.১ ডাক্তার প্রদত্ত ভিজিটের সাথে ঔষধের মূল্য ও সকল প্রকার সার্ভিসচার্জ সংযুক্ত করে মোট প্যামেন্ট যোগ্য এমাউন্ট সফটওয়ারে প্রদর্শিত হবে।

৩.২.২  রোগীকে কমপক্ষে ৩০০ টাকা/রুপি বা ৫ ডলার অগ্রিম প্যামেন্ট করে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে এবং ডাক্তারের সাক্ষাতে আসার পূর্বে বাকি সমূদয় প্যামেন্ট যোগ্য এমাউন্ট পরিশোধ করতে হবে।

৩.২.৩ ডাক্তার যথাসময়য়ে চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হলে রোগী চাইলে নতুন করে সময় নিতে পারবেন অথবা প্রদেয় সকল প্যামেন্ট ফেরত চাইতে পারবেন। এ বিষয়ে অনলাইন সেন্টার পরিচালকের সাপোর্ট নিতে পারবেন অথবা https://hdhealth.org/contact-us/ পেজের মাধ্যমে সাপোর্ট নিতে পারবেন।

৩.২.৪ রোগী এপয়েন্টমেন্ট প্রাপ্ত সময়ের ২৪ ঘন্টা পূর্বে এপয়েন্টমেন্ট বাতিল করতে পারবেন এবং প্রদেয় সকল প্যামেন্ট ফেরত চাইতে পারবেন। এ বিষয়ে অনলাইন সেন্টার পরিচালকের সাপোর্ট নিতে পারবেন অথবা https://hdhealth.org/contact-us/ পেজের মাধ্যমে সাপোর্ট নিতে পারবেন।

১. আমাদের অনলাইন এ্যাসিস্ট্যান্টগন নিজ কলেজের শিক্ষক (যাঁরা আমাদের সফটওয়্যারে যুক্ত হয়েছেন বা হবেন) এবং বিশ্ববিখ্যাত হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের সাথে অনলাইনে কাজ করার সুবিধা পাবেন, অর্থাৎ ইন্টার্নী করতে পারবেন।
২. রোগী থাকবে আমাদের অনলাইন এ্যাসিস্ট্যান্টের নিকট, অপরদিকে ডাক্তার দূর থেকে ভিডিও কলে চিকিৎসা দিবেন। এরফলে আমাদের অনলাইন এ্যাসিস্ট্যান্টগন ডাক্তার ও রোগীর কথোপকথন, প্রদত্ত প্রেসক্রিপশন, রেপার্টরি এনালাইসিস যদি থাকে, পরবর্তী স্বাক্ষাতকারে রোগীর উন্নতি ও অবনতির ভিত্তিতে দ্বিতীয় প্রেসক্রিপশনসহ ডাক্তার ও রোগীর সকল কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে সহজেই প্রাকটিক্যাল রোগী দেখা শিখতে পারবেন।
৩. এছাড়াও নিয়মিত কেসটেকিং ও রোগী ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ অনলাইনে পাবেন।
৪. সিলেবাস ভিত্তিক পূর্নাঙ্গ প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ হোমিওপ্যাথি ডাক্তার হিসাবে গড়ে তোলা হবে।
৫. কেসটেকিং ও রোগী ম্যানেজমেন্ট ফি এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
৬. অনেক দেশ ও অঞ্চলের বহু ডাক্তার ও শিক্ষার্থীদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি হবে। এরফলে সফলতার অনেক দরজা খুলে যাবে ইনশাআল্লাহ্।