গাছপালা

নাগেশ্বর গাছ

প্রচলিত নাম : নাগেশ্বর

ইংরেজী নাম : Ceylon Iron-wood

বৈজ্ঞানিক নাম : Mesua nagessarium Burn. F. Kos

পরিবার। : Guttiferae

পরিচিতি : মাঝারি থেকে বড় আকারের চিরসবুজ বৃক্ষ। কাণ্ডের গোড়ায় প্রায়শই বাট্রেস বা আধমূল থাকে। বাকল, পাতলা-লালাভ বাদামী ও এক্সফলিয়েটিড (exfoliated)। পাতা কচি অবস্থায় লাল হয় এবং আস্তে আস্তে সবুজ হয়। পাতা সরল বিপরীত, উজ্জ্বল, গাঢ় সবুজ ও বর্শাকৃতির। ফুল সাদা সুগন্ধযুক্ত কাক্ষিক ও ৫-১০ সে. মি. হয়। ফল ডিম্বাকৃতির ছোট।

বিস্তৃতি : বাংলাদেশর সর্বত্র।

বীজ সংগ্রহ : অক্টোবর-নভেম্বর।

বীজের ওজন : কেজিতে ৩০০টি (বড়) ও ১০০০টি (ছোট)।

বীজ সগ্রহ ও চারা উত্তোলন : অক্টোবর-নভেম্বর মাসে এর ফল পাকতে শুরু করে এবং পরিপক্ক ফল সংগ্রহের পর তা রৌদ্রে শুকিয়ে বীজ সংগ্রহ করা হয়। বীজ অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। ফেব্রুয়ারী-মার্চ বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। বীজের অঙ্কুরোদগম হতে ৩-৪ সপ্তাহ সময় লাগে। অঙ্কুরিত চারার বয়স যখন ১-২ বৎসর তখন তা রোপণ করতে হবে।

সাধারণ ব্যবহার : কাঠ লালাভ-বাদামী, খুবই শক্ত, দৃঢ়, টেকসই ও ঘূণ পোকায় আক্রান্ত হয় না। এটাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্ত ও টেকসই কাঠ বলা হয়। ওজন ৯৬০ কেজি/ঘনমিটার। কাঠ পাইলিং, ব্রীজ নির্মাণ, রেলওয়ে স্লিপার, কাটিং ব্লক, নৌকা, লঞ্চ, ট্রলার নির্মাণ, ভারী আসবাবপত্র, গাড়ীর এক্সেল, জোয়াল, যন্ত্রের হাতল, নৌকার মাস্তুল, দাড়, গল্ফ ক্লাব হেড, বাদ্যযন্ত্র ও হাঁটার ছড়ি তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।

ঔষধি ব্যবহার :

১) ফুল কাশি এবং পেটের পীড়ায় কার্যকরী।

২) ফুলের কুঁড়ি আমাশয়ের জন্য উপকারী।

৩) এর বাকলের নির্যাস ক্ষরণ বন্ধ ও ঘর্ম নিৎসারক ঔষধ তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।

৪) বীজ হতে উৎপাদিত তৈল চুলকানী ও বাতের ব্যথা উপশমে কার্যকরী।

৫) শোভা বর্ধনকারী, কাঠ শক্ত টেকসই, উইপোকার আক্রমণ প্রতিরোধক।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *