মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
মানসিক রোগের সতর্কতামূলক লক্ষণ ও চিহ্ন
মানসিক রোগের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতামূলক লক্ষণ রয়েছে। যেগুলোর উপস্থিতি বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতে হতে পারে মানসিক সমস্যার ইঙ্গিত প্রদান করে। লক্ষণগুলো হলো।
সাধারন:
- বিরতীহীন দুশ্চিন্তা
- সব সময় বিষন্নতায় ভোগা
- উল্লেখযোগ্য কারণ ব্যতিত মনোনিবেশ করতে না পারা
- সামঞ্জস্য পূর্ণ কারণ ব্যতিত বিরতীহীনভাবে অসুখী অনুভব।
- দ্রুত মেজাজ খারাপ হয়ে যাওয়া
- নিয়মিত ভাবে ঘুম না হওয়া।
- অস্থিতিশীল মানসিক অবস্থা ।
- ক্রমাগত ভাবে অন্যদের সাথে মিশতে অনীহা।
- দৈনন্দিন গতানুগতিক কাজে বাধা আসলে বিরক্ত বোধ করা
- শিশুরা স্বাভাবিক ভাবে বিরক্ত করলে ক্রোধানুভুতি হওয়া।
- কোন বাস্তব কারণ ছাড়া ভীতি।
- শুধু নিজেকে সঠিক এবং অন্যদের ভুল ভাবা।
- সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষমতা
- দায়িত্ব গ্রহণে অক্ষমতা
- একই চিন্তা বা কাজ বারবার করা (শুচিবাই),
- বন্ধুত্ব গড়তে বা তা বজায় রাখতে অক্ষমতা
- আবেগ সংবরণ করতে অক্ষমতা।
- অপছন্দনীয় বিষয় বা বাস্তবতা মোকাবেলা করতে অক্ষমতা
- অতীতের অপ্রীতিকর স্মৃতি ভুলে যেতে অক্ষমতা
- অতীতের আবেগজনিত ভুল থেকে শিক্ষা নিতে অক্ষমতা
- সব সময় অজানা আশাংকার মধ্যে থাকা
- সহজেই মেজাজ বিগড়ে যাওয়া।
- আত্নহত্যার ইচ্ছা
- প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে যৌনাকাঙ্খা হ্রাস ও যৌণক্রিয়াজণিত সমস্যা (পুরুষদের ক্ষেত্রে ইরেকটাইল ডিজফাংকশন ও প্রিমেচিউর ইজাকুলেশন, মহিলাদের ক্ষেত্রে সঙ্গমে বেদনানুভব)।
- কোন দৈহিক কারণ ছাড়াই (পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত) সর্বাঙ্গে কোন স্থানে বেদনা অনুভব।
- মাদকাশক্তি
কিশোর বয়সী:
- সাধারন লক্ষণগুলো বিদ্যমান থাকতে পারে।
- মাদকাশক্তি
- নিত্যদিনের স্বাভাবিক কাজ কর্মের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারা।
- খাদ্য গ্রহণ ও ঘুমের অভ্যাসের পরিবর্তন
- শারীরিক সমস্যার অতিরিক্ত অভিযোেগ
- প্রকাশ্যে অবাধ্যতা।
- মোটা হয়ে যাওয়ার অত্যধিক ভীতি।
- ঋণাত্নক চিন্তাধারা
- ঘন ঘন রেগে যাওয়া। ইত্যাদি।
শিশুদের ক্ষেত্রে
- বিদ্যালয়ে পারদর্শিতার পরিবর্তন
- যথাসাধ্য প্রচেষ্টার ফলেও খারাপ ফলাফল।
- অত্যধিক দুশ্চিন্তা (যেমন- বিছানায় যেতে বা স্কুলে যেতে) *
- অতিক্রিয়াশীলতা
- ক্রমাগত দুঃস্বপ্ন দেখা।
- ক্রমাগত অবাধ্য হওয়া
- ঘন ঘন মেজাজ খারাপ হওয়া। ইত্যাদি।