নিরাপদ চিকিৎসা, মানসিক রোগ

মানসিক অসুস্থতার কারণ ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।

মানসিক অসুস্থতা

যেকোন ধরনের বৈকল্য যা একজন ব্যক্তির চিন্তা, আবেগ বা আচরনে অস্বাভাবিকতার সৃষ্টি হয় যা তার নিজের বা অন্যের ভোগান্তির কারণ হয়।

 

মানসিক অসুস্থতার কারন

শারীরিক অসুস্থতার মত মানসিক অসুস্থতারও অনেক কারণ রয়েছে। মানসিক রোগের প্রাকৃতিক ইতিহাসে বহুবিধ প্রভাবক রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য

 

বংশগতি: কিছু কিছু ক্ষেত্রে বংশগতি গুরুত্বপূর্ন প্রভাবক।উদারহরন স্বরূপ বলা যায় সুস্থ্য দম্পতিদের তুলনায় সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত দম্পতিদের সন্তানদের সিজোফ্রেনিয়ায় হবার আশংকা শতকরা ৪০ ভাগ বেশি।

জন্মগত: প্রসবকালীন আঘাত, নবজাতকের শ্বাসরোধ, মায়ের গর্ভকালীন সময়ে রুবেলা বা মিজেলস ভাইরাসের সংক্রমন ও পুষ্টি হীনতা।

কিছু কিছু রোগ: ক) মস্তিস্কের রোগ; যেমন- মস্তিস্কের রক্তনালীর: রোগ, সেরেব্রাল আর্টারী ফ্লেরোসিস, নিউরোলজিক ডিসিমিনেটেড ফ্লেরোসিস, টিউমার জণিত রোগ।

অন্তক্ষরাগ্রন্থিজণিত ও বিপাকীয় রোগ; যেমন- ডায়াবেটিস মেলিটাস, হাইপার থাইরয়ডিজম, হাইপো থাইরয়ডিজম।

কিছু কিছু চির রোগ; যেমন- যক্ষা, কুষ্ঠ, সিফিলিস ।

অপুষ্টি: আয়োডিনের, লৌহ ও ভিটামিন বি কম্পেক্স – এর অভার জনীত।

বিষক্রিয়াযুক্ত বস্তু: নিউরো-টক্সিক বস্তু যেমন- ক) পারদ, ম্যাঙ্গানিজ, সিসা, এসবেস্টস, এলকোহল ইত্যাদি। খ) মানসিক অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে এমন ঔষধ- ট্রাংকু লাইজার, বার্বিচুরেট এবং গ্রাইসোফুলাভিন। গ) মাদক দ্রব্য।

আঘাত: বিভিন্ন কারনে মস্তিষ্কে আঘাত প্রাপ্তি।

তেজস্ক্রিয়তা: স্নায় তার বিকাশ কালীন সময় তেজস্ক্রিয়তার প্রতি স্পর্শ কাতর থাকে।

সামাজিক কারণ: মানুষ সমাজে অবস্থান কালীন সময় তার নিজস্ব ও তার প্রতি আচরনগত অস্বাভাবিকতা যেমন- দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা, আবেগজনীত চাপ, মানসিক চাপ, হতাশা, অসুখী দাম্পত্য জীবন, ভাঙ্গা সংসার বা সংসারে অশান্তি, দারিদ্রতা, পরিবারের গঠনের পরিবর্তন, জনসংখ্যা স্থানান্তর, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা, নিষ্ঠুরতা, প্রত্যাখ্যান, উপেক্ষা ইত্যাদি এর অন্তর্ভুক্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *