বিষমিষ ও বমি হলে করনীয় ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
বমি ও বিষমিষ
পেটের ভেতরে অবস্থানরত খাদ্য দ্রব্য উল্টোপথে মুখ দিয়ে সবেগে বের হয়ে আসাকে বমি বলা হয়। বমি হওয়ার অনুভুতি কে বিষমিষা বলা হয়। বমি শুধু পরিপাক তন্ত্রের সমস্যার কারনেই হয় না বরংচ দেহের অন্যান্য সমস্যার জন্যও হতে পারে। যেমন মস্তিস্কে আঘাত ও রক্তক্ষরন কিংবা মস্তিস্কের অভ্যন্তরের চাপ বেড়ে যাওয়া, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি।
প্রাথমিক চিকিৎসা
সাধারণ ব্যবস্থাপনা
রোগীকে শুইয়ে দিতে হবে কিংবা পেছনে হেলান দিয়ে বসিয়ে দিতে হবে।
বমি বেশি হলে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
আদা ছোট ছোট করে কুঁচি করে অতি সামান্য লবন দিয়ে কিছু পরিমান খেতে হবে এবং কিছু পরিমান মুখে ধরে রাখতে হবে ও ধীরে ধীরে চুষে চুষে আদার রস খেতে হবে। এ কারণেই
ঔষধ
১) এন্টি ইমেটিক জেনেরিক: অনডাট্রেন (ondansetron)
ব্রান্ড- অনসেট (onsat) ; প্রস্ততকারক: বেক্সিমকো
ডোজ:
না প্রাপ্ত বয়স্ক: ৮ মিগ্রা ট্যাবলেট ১ টি করে দিনে ৩ বার। ॥ শিশু (৪-১১ বছর) : ৪ মিগ্রা ট্যাবলেট ১ টি করে দিনে তিন বার। * শিশু (২-৪ বছর) : সিরাপ আধাচামচ দিনে তিন বার।
২) মোটিলিটি স্টিমুলেন্ট: ২ বছরের কম বয়স্ক শিশুদের ক্ষেত্রে জেনেরিক: ডমপেরিডন (domperidone)
ব্র্যান্ড : অমিডন (omidon) প্রস্তুতকারক: ইনসেপটা
ডোজ: ০.২-০.৪ মি. গ্রা./ কি. গ্রা. শরীরের ওজন অনুসারে দিনে তিন বার।
বমির রোগীকে যখন হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে
বমির সাথে ডায়রিয়া থাকা * বমির সাথে পেট বেদনা থাকা।
বমির সাথে পেট বেদনা ও পায়খানা বন্ধ (বিগত ২৪ ঘন্টায়) থাকা।
বমির সাথে রক্ত আসা। v বমিতে তীব্র দুর্গন্ধ থাকা। / তীব্র বমির ফলে রোগী দুর্বল হয়ে যাওয়া।
বমির রোগীর উচ্চরক্তচাপ থাকা ( সিস্টোলিক ১৫০ বা তার বেশি; এটি স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে)।
বমির সাথে বিগত ৭২ ঘন্টায় মাথায় আঘাতের ইতিহাস থাকা।
বমির পর রোগী অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা চেতনা লোপ পাওয়া।
প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের ২৪ ঘন্টার মধ্যে উন্নতি না হওয়া।
সতর্কতা: বমির সমস্যার জন্য কখনোই ইনজেকশন স্টিমেটিল বা ভারগন ইনজেকশন দেয়া যাবে না। এতে রোগীর মারাত্বক সমস্যা এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।