ইউরিনারী সিস্টেমে ক্রিয়াশীল ঔষধ
ইউরিনারী সিস্টেমে ক্রিয়াশীল ঔষধসমুহকে নিম্নরূপে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে-
ক) ডায়ইউরেটিকস : এ ঔষধগুলো মূত্র তৈরি বৃদ্ধি করে। যেমন হাইড্রোক্লোরোথায়াজাইড, ক্লোরথ্যালিডোন, ফ্রসেমাইড, বিউমেটানাইড, এমিলোরাইড, স্পাইরোনোল্যাকটোন ইত্যাদি।
খ) ইউরিনারী রিটেনশন ও বি.এইচ.পি-তে ক্রিয়াশীল ঔষধ : ইউরিনারী রিটেনশন বলতে ইউরিনারী ব্লাডার সম্পূর্নভাবে খালি করার অপারগতাকে বোঝায়। বি.এইচ পি. অর্থ বিনাইন হাইপারপ্লাসিয়া অব প্রোপ্রোস্টেট। এটি পুরুষের ইউরিনারী রিটেনশনের অন্যতম প্রধান কারন। ইউরিনারী রিটেনশন ও বি.এইচ.পি, তে ব্যবহৃত ঔষধসমূহকে নিম্নরূপে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে-
- আলফা ব্লকার; যেমন- আলফুজোসিন, প্রাজোসিন, টামসুলোসিন, টেরাজোসিনইত্যাদি।
- প্যারাসিম্পেথোমিমেটিকস; যেমন- কার্বাকোল, ডিসটিগমাইন ইত্যাদিা
গ) ইউরিনারী ইনকন্টিনেন্স ও নকচারনাল এনিউরেসিস -এ ক্রিয়াশীল ঔষধ: ইউরিনারী ইনকন্টিনেন্স বলতে অসাড়ে মূত্রনির্গত হওয়াকে বোঝায়। নকচারনাল এনিউরেসিস বলতে ঘুমের মধ্যে অসাড়ে মূত্র নির্গত হওয়াকে বোঝায় যখন ব্যক্তির ইউরিনারী ব্লাডারের নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা থাকার বয়স হয়েছে। একে শয্যামূত্রও বলা হয়।
উপরোক্তক্ষেত্র সমূহে যে সকল ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে-ফ্ল্যাভোক্সেট, অক্সিবিউটাইলিন, টলটেরোডিন, এমিট্রিপটাইলিন, নরট্রিপটাইটিল , ডেসমোপ্রেসিন।
ঘ) ইউরিনারী ট্রাক্ট ইনফেকশনে ক্রিয়াশীল ঔষধ।
- এন্টিমাইক্রোবিয়াল; যেমন- সেফালোস্পোরিন
- এন্টিপ্রোপ্রোটোজোয়াল; যেমন- মেট্রোনিডাজলব
ঙ) ইউরোলজিক্যাল বেদনায় ব্যবহৃত ঔষধ
- এন্টিস্পাজমোডিক; যেমন- টাইমোনিয়াম
- এনালজেসিক; যেমন- ডাইক্লোফেনাকব