অচেতনতার কারণ ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
অচেতনতা
অচেতনতা বলতে পারিপার্শ্বিকতার সাথে রোগীর আচরণের সামঞ্জস্য না থাকাকে বোঝায়। সাধারণ ভাষায় একে অজ্ঞান বলা হয়। অচেতনতার প্রধান লক্ষণ কথা না বলা, আদেশের প্রতি সাড়া না দেয়া, চোখ বন্ধ করে থাকা ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে রোগী বেদনার প্রতি সাড়া দিতেও পারে আবার নাও পারে। তবে অবশ্যই রোগীর ভাইটাল সাইনগুলোর উপস্থিতি থাকতে হবে।
অচেতনতার কারণ
অচেতনতার কারণসমূহকে নিম্নভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে।
১. ভ্যাসোভ্যাগাল স্টিমুলেশন: দুর্বল দৈহিক অবস্থা, এনিমিয়া, জ্বর, পরিশ্রম, অনেক্ষণ দাড়িয়ে থাকা, আবেগ, মারাত্নক আঘাত, মারাত্নক ব্যথা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এটি ঘটতে পারে ।
২. কার্ডিওজেনিক: আকস্মিকভাবে কার্ডিয়াক আউটপুট কমে যাওয়ার ফলে সেরেব্রাল হাইপোপারফিউশন হয়। কার্ডিয়াক ডিজরডার থাকলে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
৩. মাথায় আঘাত।
৪. ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমোরেজ; সেরেব্রাল হেমোরেজ, সাব-এরাকনয়েড হেমোরেজ ইত্যাদি।
৫. ব্রেইন এর ইনফেকশন: যেমন- মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস, সেরেব্রাল এবসেস ইত্যাদি।
৬. সেরেব্রাল ইসকেমিয়া কিংবা ইনফারকশন।
৭. মারাত্নক সিস্টেমিক ইনফেকশন।
৮. মেটাবলিক ডিস্টারবেন্স: যেমন-হাইপোগ্লাইসেমিয়া, কিটোএসিডোসিস, ইউরেমিয়া ইত্যাদি।
৯. ইলেক্ট্রোলাইট অসমতা। যেমন-হাইপোন্যাট্রেমিয়া,
১০. হেপাটিক ফেইলুর
১১. রেসপিরেটরি ফেইলুর।
১২. হাইপোথারমিয়া, হাইপারথারমিয়া।
১৩. বিষক্রিয়া; যেমন- এলকোহল, বারবিচুরেট, নারকোটিক ড্রাগ, ট্রাংকুলাইজার, কার্বন মনোক্সাইড, বিষ ইত্যাদি।
১৪. অন্যান্য: এপিলেন্সি, ব্রেইন টিউমার, এনাফাইলেক্সিস ইত্যাদি।
আকস্মিক অচেতনা একটি মেডিকেল ইমারজেন্সি। অচেতনতার প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে মেডিকেল ইমারজেন্সি অংশে আলোচনা করা হয়েছে।