Treatment of typhoid fever and all the procedures of the doctors.
টায়ফয়েড জ্বর
টাইফয়েড (Typhoid) জ্বর হলো একটি সিস্টেমিক ইনফেকশন যা প্রধাণত সালমোনেলা টাইফি নামক ব্যকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্টি হয়। এটি একটি পানিবাহিত রোগ অর্থাৎ এটি নোংরা হাত, জীবানুদুষ্ট খাবার ও পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। একে এনটেরিক ফিভারও বলা হয়। এটি প্রকৃতপক্ষে পরিপাকতন্ত্রের রোগ। টায়ফয়েড জ্বরের চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। টাইফয়েড জ্বরের লক্ষন এবং চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
টায়ফয়েড জ্বরের লক্ষণ
১. জ্বর
- আক্রমন ধীরে ধীরে হতে পারে।
- তাপমাত্রা প্রথম ৪-৫ দিন ধাপ সাদৃশ্যে বৃদ্ধি পায়।
২. তৎসহ মেলেইজ (গা ম্যাজম্যাজ করা), হেডেক (মাথা ব্যথা), ড্রওজিনেস (তন্দ্রালুতা) ও গাত্র বেদনা থাকতে পারে।
৩. কাশি থাকতে পারে।
৪. ডায়রিয়া ও বমি থাকতে পারে।
৫. প্রথম সপ্তাহ শেষে গায়ে ছোপছোপ গোলাপী দাগ, স্প্লিনোমেগালী (প্লিহা বড় হয়ে যাওয়া) ও পেট ফাপা থাকতে পারে।
৬. দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষে জটিলতা দেখা যেতে পারে। যেমন- মেলিনা, ডেলিরিয়াম (প্রলাপ বকা) কোমা ইত্যাদি।
টাইফয়েড জ্বরের ফলে যে সকল সমস্যা হতে পারেঃ
১. অন্ত্রে রক্ত ক্ষরণ (মলের বর্ণ আলকাতরার ন্যায় কালচে হয়ে যায়) ;
২. অন্ত্র ছিদ্র হয়ে যাওয়া ;
৩. কলেসিস্টাইটিস (গল ব্লাডার এর ইনফ্লামেশন) ;
৪. নিউমোনিয়া ;
৫. মায়োকার্ডাইটিস ;
৬. থ্রম্বোফ্লেবাইটিস ;
৭. অস্টিও মায়েলাইটিস ;
৮. ইউরিনারী রিটেনশন ;
৯. নেফ্রাইটিস ;
১০.সাইকোসিস ;
টাইফয়েড জ্বরের ক্ষেত্রে কি কি ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করবেন?
১. ব্লাড ফর
- সিবিসি সিপি
- বিডাল
- ব্লাড় ও ইউরিন কালচার
২. ইউরিন: আর এম ই
৩. স্টুল: ও বি টি
৪. আন্ট্রাসনোগ্রাফি: হোল এবডোমেন।
টায়ফয়েড জ্বরের চিকিৎসা এবং রোগী পরিচর্যাঃ
টায়ফয়েড জ্বর নিশ্চিত হলে (ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমে) নিম্নলিখিত চিকিৎসা প্রদান করা যেতে পারে।
১. জ্বরের সময় এবং ১০-১৪ দিন পর্যন্ত বিশ্রাম ;
২. প্রচুর পরিমানে তরল খাবার গ্রহণ ;
৩. নরম ও সহজপাচ্য অতিরিক্ত মসলাহীন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ ;
৪. শরীরে জ্বর থাকা অবস্থায় জ্বরের পরিচর্যা ;
অনলাইনে টায়ফয়েড জ্বরের চিকিৎসা এর জন্য আমাদের অবিজ্ঞ দাক্তারদের থেকে পরামর্শ নিতে ক্লিক করুন এপয়েন্টমেন্ট
[videogallery id=”typhoid-alo”]
[videogallery id=”typhoid-homeo”]
[videogallery id=”typhoid-harbal”]
টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা
১। এন্টিবায়োটিকের মাধ্যমে সাধারনত টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা করা হয়। এন্টিবায়োটিক শুরুর পরও টাইফয়েড জ্বর কমতে চার থেকে পাঁচ দিন লেগে যেতে পারে।
২। ঔষধ ও চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকে অধিক পরিমাণে তরল খাবার দিতে হবে কারণ দীর্ঘস্থায়ী জ্বর এবং ডায়রিয়ার কারণে রোগীর শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দেয়াটা খুবই স্বাভাবিক ।
৩। যখন পানি শূন্যতা তীব্র আকার ধারন করে তখন শিরাপথে ওষুধ প্রদানের মাধ্যমেও তরলজাতীয় খাবার প্রদান করা যায়।
৪। সবচেয়ে বড় কথা টাইফয়েড রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।
৫। যখন জ্বর বেশি থাকবে তখন পুরো শরীর ভেজা গামছা বা তোয়ালে দিয়ে বারবার মুছে দিতে হবে।
৬। অসুস্থ থাকার কারনে শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই শরীরের পুষ্টি ফিরে আসার জন্য উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে।
৭। মনে রাখতে হবে প্রত্যেকবার বাথরুম ব্যবহারের পর অবশ্যই হাত পানি ও সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হলো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এন্টিবায়োটিক গ্রহন করতে হবে।