প্রচলিত নাম : হেগলা, তারা
ইংরেজী নাম : Eliphant-grass, Indian Reed-macc
বৈজ্ঞানিক নাম : Typha elephantiana Roxb.
পরিবার : Graminae
পরিচিতি : টাইফা এলিফ্যান্টিনা বা হোগলা পথিকৃত প্রজাতি হিসাবে সাধারণতঃ সুন্দরবনের নদীর মোহনার চর এবং খাল-জলার পাড়ে জন্মায়। হোগলা উরিঘাস বা ধানসীর ঠিক পরেই জেগে উঠা চরে জন্মে এবং হোগলার পরে কেওড়া জন্মায়। হোগলা গড়ে ৩-৪ মিটার বা তার বেশী লম্বা হয়ে দলবদ্ধভাবে জন্মায়। ঘাস জাতীয় এই গাছে খুবই দীর্ঘ খাড়া খাড়া পাতা হয়।
বিস্তৃতি : বাংলাদেশের সর্বত্র।
সাধারণ ব্যবহার : জুলাই-আগস্ট মাসে ফুল ফোটে এবং স্পাইকেট পুষ্পমঞ্জুরী পরিপক্ক অবস্থায় বাদামী বর্ণ ধারণ করে এবং দেখতে অনেকটা হাভানা চুরুটের মত। হোগলা মাদুর, পর্দা, বেড়া, কুঁড়ে ঘরের ছাউনী তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। তাপ কু-পরিবাহী হওয়ায় কারণে হোগলা মাদুর সুন্দরবন ও উপকূলীয় অন্যান্য অঞ্চলে মাছ সংরক্ষণের জন্য মাছ ও বরফের উপর মোড়ক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।