যক্ষা রোগের চিকিৎসা ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
টিউবারকুলোসিস বা যক্ষা
টিউবারকুলোসিস (tuberculosis) বা যক্ষা হলো একটি ব্যকটেরিয়া ঘটিত রোগ। মাইকোব্যকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক ব্যকটেরিয়া দ্বারা এটি হয়ে থাকে। এটি প্রধানত ফুসফুসে হয়ে থাকে। তবে দেহের অন্যান্য স্থানেও দেখা যেতে পারে।
যক্ষার স্থান
দেহের বিভিন্ন স্থানে টিউবারকুলোসিস হতে পারে। তবে ফুসফুসে টিউবারকুলোসিস বেশি দেখা যায়। এছাড়াও টিউবারকুলোসিস এর সচরাচর স্থানঃ-
১. ইন্টেসটাইন বা অন্ত্র
২. ইউরিনারী ট্রাক্ট
৩. বোন বা অস্থি
৪. লিনোড়
৫. স্কিন
৬. ব্রেইন ও মেনিনজেস
পালমোনারী টিউবারকুলোসিস এর লক্ষণঃ
পালমোনারী বা ফুসফুস সম্পর্কীত
১. এক নাগাড়ে তিন সপ্তাহের বেশী সময় ধরে কাশি ।
২. প্রোপ্রোডাক্টিভ কফ কিংবা নন প্রোপ্রোডাক্টিভ কফ।
৩. হেমোপটাইসিস
৪. বুকে ব্যথা।
৫. অসকালটেশনে ক্রিপিটেশন পাওয়া যেতে পারে।
সিস্টেমিক বা সার্বদৈহিক
১. ক্ষুধা মন্দা
২. ওজন হ্রাস
৩. দুর্বলতা
৪. রাতে ঘাম
৫. বিকালে/সন্ধায়/রাতে জ্বর।
জটিলতার লক্ষণ পাওয়া যেতে পারে। যেমন
১. প্লুরাল ইফিউশন।
২. নিউমোথোরাক্স। ইত্যাদি।
চিকিৎসা:
যক্ষার লক্ষণ দেখা গেলে রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ সরকারী হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।
[videogallery id=”tuberculosis-alo”]
[videogallery id=”tuberculosis-harbal”]
যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসাঃ
- প্রত্যেক দিন সকালে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে যক্ষার লক্ষণ কমে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।
- শরীরের ক্ষয় রোধ করার জন্য মধু ও মাখন খেতে পারেন। সেই সঙ্গে যক্ষা থেকে রেহাই পাবেন। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম মাখনে ২৫ গ্রাম মধু মিশিয়ে খান।
- খাবার গ্রহণের পর লবঙ্গের গুড়ায় মধু মিশিয়ে খাবেন। এতে যক্ষা রোগীর সুফল বয়ে আনবে।
- অশ্বত্থ পাতা, ২৫০ গ্রাম দুধের মধ্যে ফুটিয়ে নিন। সকাল এবং সন্ধ্যায় সেই দুধ পান করুন।
- রসুনের রস ফুসফুসকে মজবুত করতে অনেক সাহায্য করে। রসুনের রসের সাথে অর্ধেক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। যা যক্ষার জন্য খুবই উপকারী ।
- যক্ষা রোগী অবশ্যই প্রতিদিন ১০০ বা ২০০ গ্রাম আঙুর খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য কলা খেতে পারেন। এটি যক্ষা রোগ নিরাময়ে সহায়ক।