অ্যালার্জির লক্ষণ ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
অ্যালার্জি
অ্যালার্জি (Allergy) হলো একটি প্রতিরোধ্যতা ত্রুটি। প্রকৃত পক্ষে এটি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অতিরিক্ত ক্রিয়া। বিভিন্ন বস্তুর প্রতি এলার্জি হতে পারে। আবার সকল ধরনের অ্যালার্জি বস্তুতে সকলেরই এলার্জি হয় না। কারো অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, কারো কোন সমস্যাই হয় না।
অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এমন বস্তু-
১। খাদ্য: গরু, হাঁস, চিংড়ি, পুটিমাছ, ইলিশ মাছ, পালং শাক, পুইশাক, বেগুন, মাশরুম, নারকেল, কচু ইত্যাদি।
২। বাতাসে ভাসমান বস্তু: ধুলা-বালি, ফুলের রেণু, পাখির পালক, পশুর লোম ইত্যাদি।
৩। বিভিন্ন ধরনের ধোয়া।
৪। বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ।
৫। ঔষধ: বিশেষত এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ।
৬। বিষাক্ত পদার্থ: মৌমাছি ও পোকামাকড়ের বিষ ইত্যাদি ।
অ্যালার্জিক রাইনাইটিস দুই ধরনের ।
সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস : যদি বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হয় তখন তাকে সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়।
পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস : যদি সারা বছর ধরে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হয় তখন তাকে পেরিনিয়াল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়।
অ্যালার্জির সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গঃ
১। ঘন ঘন হাঁচি এবং নাক দিয়ে পানি পড়া
২। নাসারন্ধ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া
৩। ত্বকে ছোট ছোট ফোসকা পড়ে
৪। অনেক সময় চুয়ে চুয়ে পানি পড়ে ত্বকের বহিরাবরণ উঠে যায়।
৫। চামড়া লালচে হয় এবং চুলকায়
৬। চোখ চুলকানোর পাশাপাশি ও চোখ লাল হয়ে যায়।
৭। শ্বাসকষ্ট এবং নিঃশ্বাসের সঙ্গে বাঁশির মতো আওয়াজ হয়।
৮। অনেক ক্ষেত্রে রক্তচাপ কমে গিয়ে রোগী শকে চলে যেতে পারে।
[videogallery id=”allergy-alo”]
[videogallery id=”allergy-harbal”]
অ্যালার্জি প্রতিরোধে কিছু ঘরোয়া সমাধান:
১। যাদের ডাস্ট অ্যালার্জি তারা বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন।
২। ১ গ্লাস পানিতে অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে এটি অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে ।
৩। অ্যালার্জির কারনে ত্বকে যে র্যাশ বা লালচে দাগ হয় সেই দাগ দূর করার জন্য ঘৃতকুমারী পাতার রস গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে দাগ চলে যাবে ।
৪। বিছানা এবং বালিশ এগুলো সব সময় পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে । কমপক্ষে সপ্তাহে একবার এগুলো রোদে দিন ।
৫। নিম পাতা ত্বকের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্যএক ধরনের ঔষধি হিসেবে কাজ করে । অ্যালার্জী প্রতিরোধে নিম পাতা পেস্ট করে ত্বকে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৬। যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছ থেকে পূর্বেই মেডিসিনের সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে জেনে নিতে হবে । রোগীর সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য ভ্রমনের সময় অ্যালার্জি প্রতিরোধক মেডিসিন সাথেই রাখতে হবে।
একটি কথা। অ্যালার্জি হলে ওষুধ না খেয়ে চেষ্টা করতে হবে যেসব জিনিসে অ্যালার্জি রয়েছে সেগুলোকে যথা সম্ভব এড়িয়ে চলা। তবে ওষুধ গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।