ব্রংকাইটিস (bronchitis) হলো ব্রংকাস এর ইনফ্লামেশন। ব্রংকাইটিস হলে কাশি, বুকে বেদনা এমনকি কাশির সাথে রক্ত আসতে পারে।
সাধারণত ধুমপায়ীদের ব্রংকাইটিস বেশি দেখা যায়। ব্রংকাইটিস একিউট বা ক্রনিক হতে পারে। ক্রনিক ব্রংকাইটিস এর প্রধান লক্ষণ ঘন ঘন কাশিতে আক্রান্ত হওয়া।
প্রথমে ব্রংকাইটিস নির্ণয়ের জন্য রোগীর বুকের এক্সরে, রক্তের সিবিসি ইত্যাদি পরীক্ষা। করাতে হবে। তাই ব্রংকাইটিস সন্দেহ হলো রোগীকে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।
ব্রংকাইটিসের কারণ:
১। সাধারণত ধুলাবালি ও রাসায়নিক ধোঁয়ার পরিবেশের জন্য ব্রংকাইটিস হয়ে থাকে ।
২। দীর্ঘদিন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অবস্থান করার কারনে ব্রংকাইটিস হতে পারে।
৩। স্যাঁতস্যাতে ধূলিকণা মিশ্রিত আবহাওয়া ব্রংকাইটিস হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়।
৪। ঠান্ডা লাগা
৫। দীর্ঘদিন নিয়মিত ধূমপান করার অভ্যাস। ইত্যাদি কারণে এ রোগ হতে পারে।
৬। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও এ রোগ হতে পারে। শ্বাসনালির অভ্যন্তরে সিলিয়া নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে ব্রংকাইটিস হয়ে থাকে ।
ব্রংকাইটিসের লক্ষণঃ
১। কাশি, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হওয়া।
২। বুক সাধারণত শক্ত হয়ে যায়।
৩। কাশির সময় বুকে ব্যথা অনুভব হয়।
৪। শক্ত খাবার খেতে পারে না।
৫। শরীরে জ্বর থাকে।
৬। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
৭। কাশির সাথে অনেক সময় কফ বা রক্ত বের হয়ে আসে ।
৮। গলায় ব্যথা এবং সেই সাথে নাক দিয়ে সর্দি যেতে পারে অনেক সময়। ইত্যাদি।
[videogallery id=”bronchitis-alo”]
[videogallery id=”bronchitis-harbal”]
ব্রংকাইটিস থেকে সুস্থ থাকতে করনীয়ঃ
১। শীতের শুরুর দিকে ও শীত বিদায় নেওয়ার সময় বেশি যত্ন নিতে হবে।
২। যাঁরা ইতিমধ্যে ব্রঙ্কাইটিস বা ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছেন, তাঁদের নিয়মিত ইনহেলার নিতে হবে অথবা ওষুধ খেতে হবে।
৩। দূষণযুক্ত এলাকায় বা বেশি ধুলোয় থাকা উচিত নয়।
৪। সর্দি-কাশির থাকলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন।
৫। ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
৬। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাইরে থেকে ঘরে ফিরে সবসময় ভালভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৭। গরম পোশাক ব্যবহার করবেন এবং বাইরে বেরোলে যাতে ঠান্ডা না লাগে সেদিকে নজর দিন।
৮। দৈনন্দিন জীবনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।