নাক কান গলা রোগ, নিরাপদ চিকিৎসা

টনসিলাইটিসের লক্ষণ ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।

টনসিলাইটিস

গলার দুই পাশে টনসিল নামক দুটি গ্ল্যান্ড রয়েছে। এই টনসিলের ইনফ্লামেশনকে টনসিলাইটিস (tonsilitis) বলা হয়। এর কারণ ব্যকটেরিয়া নামক জীবাণু। তবে সর্দি/ঠান্ডা লাগলে ব্যকটেরিয়ার আক্রমণ বেশি হয়। টনসিলাইটিস এর লক্ষণ – গলা ব্যথা, ঢোক গিলেতে কষ্ট হওয়া, টনসিল ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগ বেশি দেখা যায়। টনসিলাইটিস একিউট ও ক্রনিক হতে পারে।

 

প্রাথমিক চিকিৎসা 

ফ্রিজের ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম ইত্যাদি এড়িয়ে চলা।

কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে দিনে ৩-৪ বার গড়গড়া করা।

ঔষধ

ক) প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে

॥ জেনেরিক: প্যারাসিটামল ফাস্ট রিলিজ । ব্র্যান্ড: নাপা র‍্যাপিড (NAPA RAPID) প্রস্তুতকারক:

বেক্সিমকো

ডোজ: ১ টি ট্যবলেট ৬ ঘন্টা পর পর কিছু খাবার পর। খ) শিশুদের ক্ষেত্রে।

জেনেরিক: প্যারাসিটামল ব্র্যান্ড: সিরাপ নাপা (NAPA) প্রস্তুতকারক: বেক্সিমকো ডোজ:

  • ২ বছর থেকে ৫ বছর: দেড় থেকে দুই চা চামচ দিনে।

৩-৪ বার। v ৫ থেকে ১২ বছর : ২-৪ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।

২) এন্টিবায়োটিক , জেনেরিক: এমোক্সাসিলিন। ব্র্যান্ড: ক্যাপসুল ফাইমোক্সিল ৫০০: ডোজ: প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ৫০০ মিগ্রা ক্যাপসুল দিনে দুটি। শিশুদের ক্ষেত্রে সিরাপ

॥ ৫-১২ বছর : ১.৫ চামচ থেকে ২ চামচ সিরাপ দিনে তিন বার ৭ দিন। । ২ বছর থেকে ৫ বছর : ১ চামচ সিরাপ দিনে তিন বার। ।

শিশুদের গলা ব্যথা কিংবা টনসিলাইটিস হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারন শিশুদের টনসিলাইটিস থেকে হার্টের রোগ কিংবা কিডনী রোগ হতে পারে।

 

এর জন্য অনলাইনে আমাদের অবিজ্ঞ দাক্তারদের থেকে পরামর্শ নিতে এখানে ক্লিক করুন  এপয়েন্টমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *