থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
থ্যালাসেমিয়া
থ্যালাসেমিয়া হলো এক ধরনের বংশগতভাবে হিমোগ্লোবিনের ক্রটি | প্রধানত দুই ধরনের থ্যালাস্যামিয়া রয়েছে আলফা ও বিটা। আবার প্রতিটিকেই মেজর ও মাইনর হিসেবে বিভক্ত করা যায়। বিটা থ্যালাসেমিয়া নির্দিষ্টভাবে বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর বেশী মারাত্নক। সাধারণত শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। এই রোগের কারন। বংশগত। সাধারণত পিতামাতা প্রথম শ্রেণীর আত্নীয় (চাচাতো, মামাতো, ফুফাতো, খালাতো ভাইবোন) হলে তাদের সন্তানের মাঝে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
এই রোগে দীর্ঘদিন জ্বর, এনিমিয়া, জন্ডিস, স্পীন বড় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মারাত্বক ভাবে আক্রান্ত শিশু ২১ বছরের বেশি বাঁচে * না। রোগীকে নির্দিষ্ট সময় পর পর রক্ত দিতে হয়।
এই রোগের সুনির্দিষ্ট আরোগ্যমূলক চিকিৎসা নেই। তবে ভারতে সাম্প্রতিক গবেষনায়। দেখা গেছে যে এলোপ্যাথির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগী অধিকতর উপশম বোধ করে ( রক্ত দেয়ার সময় বৃদ্ধি পায় )। তবে এ জন্য অবশ্যই হোমিওপ্যাথিতে এমবিবিএস মানের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।
একটি থ্যালাস্যামিয়া আক্রান্ত শিশু একটি পরিবারের কান্না। তাই এই রোগ প্রতিরোধ করতে হবে। এই রোগ প্রতিরোধের উপায় হলো প্রথম শ্রেণীর আত্নীয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হওয়া এবং সন্তান নেয়ার পূর্বে স্বামী স্ত্রী উভয়ের রক্ত পরীক্ষা করে। নেয়া।