নিরাপদ চিকিৎসা, রক্ত ও হৃদরোগ

এনিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা  ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।

এনিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা 

হিমোগ্লোবিনের পরিমান কমে গেলে তাকে এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা বলা হয়। এনিমিয়া মূলত একটি লক্ষণ । হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা –

পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ – ১৪-১৮ গ্রাম / ১০০ মিলি রক্ত

পূর্ণ বয়স্ক মহিলা – ১২-১৬ গ্রাম /১০০ মিলি রক্ত

 

এনিমিয়ার কারণ 

১) পুষ্টির অভাব,

খাদ্যে অপর্যাপ্ত আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন বি ইত্যাদি। ।

প্রোপ্রোটিন-এর অভাব

ম্যালএবজরপশন।

২) রক্তক্ষরণ

আঘাতের ফলে তরুন রক্ত ক্ষরণ হ য় ।

কৃমির আক্রমন।

অন্যান্য রক্তক্ষরণ; যেমন-ব্লিডিং পেপটিক আলসার, হেমোরইড।

৩) হেমোলাইসিস

জন্মগত: সিকেল সেল এনিমিয়া।

অর্জিত: ম্যালেরিয়া, ইউরেমিয়া, বিষক্রিয়া ইত্যাদি। ৷

পুড়ে যাওয়া ।

৪) ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন; যেমন হিমোগ্লোবিনোপাথি, থ্যালাসেমিয়া

৫) বোন মেরো ইনসাফিসিয়েন্সি: যেমন- মারাত্বক ইনফেকশন, নিওপ্লাজম, রেডিয়েশন ইত্যাদি।

৬) কিডনী রোগ; যেমন- ক্রনিক রেনাল ফেইলুর।

 

চোখের নিচের পাতার ভেতরের দিক পর্যবেক্ষণ করে এনিমিয়া নির্ণয় করা যায়। স্বাভাবিক ভাবে এই অংশটি লালচে থাকে। এনিমিয়া হলে তা ফ্যাকাশে বর্ণ হয়ে যায়।

 

 

 

এনিমিয়ার লক্ষণ

সিম্পটম

১) দুর্বলতা ও শ্রান্তি

২) বেশি নড়াচড়ার ফলে শ্বাসকষ্ট

৩) বুক ধরফর করা।

৪) গলাধকরণে কষ্ট।

৫) জিহবায় ক্ষত অনুভূতি।

৬) মুখে বার বার ঘা হওয়া।

৭) পর্যায়ক্রমিক ডায়রিয়া।

৮) মাসিকে রক্তক্ষরণ হ্রাস পাওয়া বা এমেরিয়া (বন্ধ থাকা)

৯) ইনফেকশন কিংবা রক্তক্ষরণের বৈশিষ্ট্য কিংবা ইতিহাস।

 

এনিমিয়ার চিকিত্সা

সাধারণ ব্যবস্থাপনা

১) খাদ্যাভ্যাস সংক্রান্ত উপদেশ: আয় সীমার মধ্যে সুষম খাদ্য ।

পর্যাপ্ত প্রথম শ্রেণির প্রোপ্রোটিন

আয়রন সমৃদ্ধ খাদ্য

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্য।

 

ঔষধজ চিকিৎসা: সাপ্লিমেন্ট থেরাপীয

ক) ওরাল আয়রন ও ফলিক এসিড

জেনেরিক: কার্বনিল আয়রন + ফলিক এসিড + জিংক (Carbonil iron+zinc+folic acid)

ব্রান্ড- জিফ সিআই (ZIF CI) প্রস্তুতকারক: স্কয়ার

ডোজ: প্রাপ্ত বয়স্ক : প্রতিদিন একটি ক্যাপসুল-১ মাস।

 

প্রাথমিক চিকিৎসায় এক মাসের মধ্যে উন্নতি না হলে ও শিশুদের ক্ষেত্রে রোগীকে এমবিবিএস চিকিৎসকের নিকট প্রেরণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *