চক্ষু রোগ, নিরাপদ চিকিৎসা

চোখে ট্যারা সৃষ্টি ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।

চোখ ট্যারা

ট্যারা চোখকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় স্কুইন্ট বা স্ট্রাবিসমাস। এই ক্ষেত্রে যা হয়,  একটি চোখ যখন সামনে কোনো কিছুর দিকে ফোকাস করে তখন অন্য চোখটি সেদিকে না তাকিয়ে বরং ওপর-নিচে বা ডানে-বাঁয়ে যেকোনো দিকে ফোকাস করে থাকে।  এটি মূলত জন্মগত সমস্যা। ছোট অবস্থায় এর চিকিৎসা করালে এটি ভাল হতে পারে। মনে রাখতে হবে ট্যারা চোখ দৃষ্টিশক্তির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ জন্য একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। 

চোখ ট্যারা হওয়ার কারণঃ 

১। চোখের মাংসপেশিতে আঘাত লাগলে চোখ ঘুরানোর ক্ষমতা কমে যায় ; 

২। সাধারণত বংশগত কারণে চোখ ট্যারা হয় ; 

৩। আবার রেটিনা, কর্ণিয়া ও মণির রোগের জন্যও চোখ ট্যারা হতে পারে ; 

৪। একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি অন্য চোখের দৃষ্টিশক্তি থেকে যদি বেশি পরিমাণে কমে যায় তাহলে চোখ ট্যারা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ; 

৫। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই জন্মানো শিশু অথবা কম ওজনের শিশুর ক্ষেত্রে ট্যারা চোখ দেখা যেতে পারে ; 

৬। শল্য চিকিৎসায় চোখের আঘাতজনিত কারণে কিংবা মায়োপিয়া বা হাইপারোপিয়া থাকলে হতে পারে ; 

৭। ডাউন সিন্ড্রোমের মতো জেনেটিক্যাল সমস্যা অথবা মস্তিষ্কে পানি জমলে হতে পারে ; 

৮। পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে চোখের ক্যান্সারের কারণে ট্যারা হতে পারে।

 

ট্যারা চোখের প্রতিরোধ ও প্রতিকারঃ 

১। শিশুর বয়স পাঁচ বছর হওয়ার আগে চোখ পরীক্ষা করা দরকার ; 

২। যদি কেউ চোখে একটির চেয়ে অন্যটি কম দেখতে পায় তাহলে অকুলোপ্লাস্টি সার্জনের পরামর্শ নেয়া উচিত ; 

৩। একটি বস্তুকে দুটি দেখা অথবা চোখে ঝাঁপসা দেখলে অকুলোপ্লাস্টি সার্জনের সাহায্য নেয়া উচিত ; 

৪। পড়াশোনা করার সময় যদি কারো মাথা ব্যাথা করে তাহলে তাদের দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করা উচিত ; 

৫। অবশ্যই মনে রাখবেন, যে কোনো বয়সের ট্যারা চোখের রোগী থাকলে চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো সম্ভব । খুব অল্প সময়ের মধ্যে অপারেশনের মাধ্যমে ট্যারা চোখ সোজা করা যায়।

 

ট্যারা চোখের চিকিৎসাঃ 

ট্যারা চোখের চিকিৎসা মূলত তিন ধরনের। পাওয়ার চেক, এক্সারসাইজ় এবং সবশেষে সার্জারি। 

১। পাওয়ার চেকঃ এক বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রেও এটি করা সম্ভব। সাধারণত যাদের সমস্যা জন্মগত ভাবে হয়ে থাকে, তাদের প্রথম দুই বছরের মধ্যে এই চিকিৎসা শুরু করা উচিত। যাদের চোখ দু’টি নাকের দিকে সরে গিয়েছে তাকে বলা হয় আইসোট্রোপিয়া। যাদের চোখ দু’টি  বাইরের দিকে সরে গিয়েছে তাকে বলা হয় এক্সোট্রোপিয়া। চোখের মণি উপরের দিকে সরে গেলে, সেটিকে বলে হাইপারট্রোপিয়া। আর নীচের দিকে সরে এলে সেটিকে বলে হাইপোট্রোপিয়া। উপরোক্ত সকল ক্ষেত্রেই চশমা দিয়ে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়।

২। এক্সারসাইজ়ঃ পাওয়ার চশমা দিয়েও যদি সমস্যা দূর না হয়, তখন কিছু এক্সারসাইজ় দেওয়া হয়, যা বাড়িতে বসেই করা সম্ভব। এগুলিকে বলা হয় বাইনোকুলার এক্সারসাইজ়।

৩। সার্জারি: বয়স বেশি হয়ে গেলে উপরোক্ত দুটি ট্রিটমেন্টে সমস্যার সমাধান নাও হতে পারে।  সেক্ষেত্রে সার্জারি করা হয়। তবে অবশ্যই এটি কোন বড় ধরনের সার্জারি নয়। এই সার্জারির মাধ্যমে সাধারণত যে পেশিগুলির ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারনে এই সমস্যা হয়ে থাকে, সেগুলি ঠিক করে দেওয়া হয়।

 

চিকিৎসার জন্য অনলাইনে আমাদের অবিজ্ঞ দাক্তারদের থেকে পরামর্শ নিতে এখানে ক্লিক করুন  এপয়েন্টমেন্ট

[videogallery id=”tayara-alo”]

[videogallery id=”tayara-homeo”]

[videogallery id=”tayara-harbal”]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *