বর্ণান্ধতা
এক বা একাধিক বর্ণানুভুতির অভাব বা ত্রুটি কে বর্ণান্ধতা বলা হয়। প্রায় ৮% পুরুষ এবং ০.৪% মহিলা বর্ণানুভুতিতে কিছু ত্রুটি প্রদর্শন করে। এ ক্ষেত্রে লাল, সবুজ ও নীল বর্ণের যে কোন একটি বা কোন বর্ণেরই অনুভুতি থাকে না। শিশুকালেই এই সমস্যা ধরা পড়ে। এ ধরনের সমস্যার প্রকৃতপক্ষে কোন চিকিৎসা নেই, তবুও একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। বর্ণান্ধতা কেন হয় এবং এর বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
জেনে নিন আপনি বর্ণান্ধ কিনা?
একটু খেয়াল করে দেখুনতো উপরের ছবিগুলোর মধ্যে বৃত্তের ভিতরে কোনো সংখ্যা আপনার চোখে আদৌ পড়ছে কিনা? যদি আপনি সংখ্যাগুলো দেখতে পান তবে তা অবশ্যই ইংরেজি সংখ্যা 74, 3 আর 42 । কিন্তু আপনি যদি এমন কিছু দেখতে সক্ষম না হন তবে আপনার সমস্যাটি হচ্ছে আপনি দুটি আলাদা রঙের মাঝে পার্থক্য করতে পারেন না। আর এটাই মেডিকেল সায়েন্স এর ভাষায় আপনার নাম দিয়েছে কালার ব্লাইন্ড বা বর্ণান্ধ।
বর্ণান্ধতা কেন হয় জানুন
বংশগত কারণ :
১। মা-বাবা যদি বর্ণান্ধ হয় তাহলে সন্তানেরাও বর্ণান্ধ হতে পারে (জেনেটিক)। তবে এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়গুলো হল:-
২। নারী এবং পুরুষের মধ্যে পুরুষের বর্ণান্ধতা বেশি পরিলক্ষিত হয়।
৩। তবে বর্ণান্ধ মায়ের ছেলেসন্তান সবসময় বর্ণান্ধ হয়।
৪। আবার মা-বাবা উভয়েই বর্ণান্ধ হলে, তাদের মেয়েসন্তান বর্ণান্ধ হয়।
বর্ণান্ধ হওয়ার আর কি কারণ থাকতে পারে?
১। কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে।
২। চোখে গুরুতর আঘাত পাওয়ার ফলে।
৩। চোখে ছানি পড়ার কারণে।
৪। পারকিনসন রোগের কারণে।
৫। ভিটামিন A এর অভাবে।
৬। এছাড়া বার্ধক্যজনিত কারণে কালার ব্লাইন্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এর জন্য অনলাইনে আমাদের অবিজ্ঞ দাক্তারদের থেকে পরামর্শ নিতে এখানে ক্লিক করুন এপয়েন্টমেন্ট
[videogallery id=”color-blind-alo”]
[videogallery id=”color-blind-homeo”]