গাছপালা

ঝাউ গাছ

প্রচলিত নাম : বিলাতি ঝাউ, হরি

ইংরেজী নাম : Seefwood

বৈজ্ঞানিক নাম : Casuarina littorea Linn.

পরিবার : Casuarinaceae

পরিচিতি : বড় আকারের চিরসবুজ শোভাবর্ধনকারী গাছ। উচ্চতায় ৩০ মিটার পর্যন্ত হয়। বাকল স্কেলি, পাতা চিক্কন, সরু ও সূঁচের মতো। শাখা শীর্ষদেশে ঝুলন্ত ট্রেলেট আছে। ফল ছোট ও গ্লোবুজ এবং প্রায় ১২ সারি একিনেস আছে। গাছ উপকূলীয় অঞ্চলে বিশেষ করে কক্সবাজার উপকূলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মে। ইহা বিভিন্ন ধরনের মাটিতে জন্মাবার ক্ষমতা রাখে। এ গাছ ৬০-৭৫ ফুট লম্বা হয় । সুন্দরবনে প্রাকৃতিকভাবে এ গাছ জন্মে না। ঝড়ের সময় এ গাছ ঝড়ের গতিকে প্রতিরোধ করার অস্বাভাবিক ক্ষমতা রাখে। এজন্য উপকুলীয় অঞ্চল ও দ্বীপাঞ্চলে ঘরবাড়ীর আশেপাশে বেশী করে ঝাউগাছ লাগানো উচিত। এছাড়া, জলোচ্ছাসের সময় এ গাছ মানুষের আশ্রয় হিসাবেও কাজ করতে পারে।

বিস্তৃতি : কক্সবাজার এলাকায় বেশী জন্মে। তবে বর্তমানে শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ হিসাবে দেশের সর্বত্রই লাগানো হয়।

বংশ বিস্তার : বালুকাময় উঁচু চরে এবং সমুদ্রের পাড়ে পানির কাছেও লাগানো যায়। মাটিকে উর্বর করার ক্ষমতা এ গাছের আছে। ঝাউগাছ প্রচুর বীজ উৎপন্ন করে। বীজ হতে চারা করে পলিব্যাগে করে মাঠে ৬x ৬ অথবা ৮ x ৮ দূরত্বে লাগালে ভাল ফল পাওয়া যায়। নার্সারী বেড থেকে চারা টেনে তুলে লাগালে চারা বাঁচে কম। বর্ষা আরম্ভ হওয়ার সাথে সাথে চারা লাগাতে হয়। বীজ লাগানোর ৪-১৮ মাসের মধ্যে চারা মাঠে লাগাতে হয়। ঝাউ-এর নার্সারী সম্পর্কে ৮ম অধ্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ।

বীজ সংগ্রহ : মে-জুন।

বীজের ওজন : কেজিতে ৭,৬০,০০০-৭,৭০,০০০টি।

সাধারণ ব্যবহার : কাঠ নরম, হালকা ও মোটামুটি টেকসই। সরল ও সোজা কাণ্ড থেকে বীম, খুঁটি, রেপ্টার, দেশী নৌকা ইত্যাদি তৈরী হয়। এ গাছ উপকূলীয় এলাকায় বালি মাটি আটকানোর ও বালিয়াড়ি রোধে লাগানো হয়। বাকলে ট্যানিন আছে এবং উক্ত ট্যানিন মাছ ধরার জাল কলপে ব্যবহৃত হয়। একক পরিমাণ কাঠ পোড়ালে তুলনামূলক অধিক তাপ ও শক্তি পাওয়া যায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *