গাছপালা

শাল গাছ

প্রচলিত নাম : শাল

ইংরেজী নাম : Sal

বৈজ্ঞানিক নাম : Shorea robusta Gaertn.

পরিবার : Dipterocarpaceae

পরিচিতি : বড় সোজা কাণ্ড বিশিষ্ট পত্রমোচি বৃক্ষ। ২৫ থেকে ৩০ মিটার উচ্চতা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে বিখ্যাত গজারি বন এই শাল বৃক্ষের বন। শাল গাছ কাটলে তার গোড়ার থেকে পুনঃ গাছ বের হয় বলে শালকে এই অঞ্চলের লোক গজারি বলে আখ্যায়িত করে। মূলতঃ শাল এবং কাটা মোথার থেকে রেরুনো চারা (যাকে ইংরেজিতে কপিস বলে) গজারী নামে পরিচিত। চারার বাকল ধূসর বাদামী, বড় গাছের বাকল ঘন বাদামী ও ফাটাফাটা। শালপাতা মসৃণ ও চকচকে, ১০-২৫ সে. মি. লম্বা হয়। ফুল হলুদাভ, পাপড়ির ভিতর দিক কমলা বর্ণের হয়।

বিস্তৃতি : ঢাকা, টাংগাইল, ময়মনসিংহ ও দেশের উত্তর অঞ্চলের বনভূমি।

বীজ সংগ্রহ : জুন-জুলাই।

বীজের ওজন : ১৬০০-২০০টি/কেজি।

সাধারণ ব্যবহার : কাঠ খুব শক্ত, ভারী, দৃঢ় ও টেকসই। ঘুণে ও পোকায় নষ্ট হয় না। শাল কাঠ শক্ত খুঁটি, কাঠের দরজা, জানালার ফ্রেম, রেলের স্লীপার, ব্রীজ, গরুর গাড়ির চাকা, বাস, ট্রাকের বডি তৈরীতে ব্যাপকহারে ব্যবহৃত করা হয়। শালের ডালপালা, পাতা, পরিত্যক্ত অংশ উৎকৃষ্ট জ্বালানি । শালের মোথা ও অন্যান্য অংশ দিয়ে ভাল কাঠ কয়লা প্রস্তুত করা যায়। শালের ফুল মৌচাষের উপযোগী। শালের বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়। বাকলে ট্যানিন আছে। এছাড়া, শাল কাঠ পাইলিং, নৌকার মাস্তুল, দাড়, বর্শা, তাঁবুর খুঁটি, চেয়ার, টেবিল, ব্রেক, ব্লক ও টেক্সটাইল মিলে ব্যবহৃত হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *