শরীফা গাছ
প্রচলিত নাম : লুনা, আতা
ইংরেজী নাম : Custard Apple
বৈজ্ঞারিক নাম : Annona squamosa Linn.
পরিবার : Annonaceae
পরিচিতি : বাংলাদেশের সাধারণ ফলের মধ্যে শরীফা অন্যতম। শরীফা পত্রমোচী ক্ষুদ্রাকৃতি বৃক্ষ। বাংলাদেশে একে সাধারণত শরীফাই বলা হয়, তবে অনেক অঞ্চলে একে বলা হয় মেওয়া বা বেহেস্তের ফল। হিন্দুদের কছে ইহা সীতাফল নামে পরিচিত। শরীফা বাগান। আকারে চাষ হয় না বললেই চলে। গ্রামবাংলার প্রতি গ্রামে দু’একটি গাছ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।
বিস্তৃতি : দক্ষিণ আমেরিকার নিরক্ষীয় অঞ্চল শরীফার জন্মস্থান। বর্তমানে শরীফা বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও চীন, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ, কিউবা, মধ্য আফ্রিকা, মিশর, শ্রীলংকা, বার্মা, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে চাষ হয়ে থাকে।
জাত : বাংলাদেশ শরীফার কোন সুনির্দিষ্ট জাত নেই। ভালো গাছ থেকে অঙ্গজ চারা তৈরী করে লাগালে ভালো জাতের ফল আশা করা যায়। ফলের মধ্যে বহু বীজ থাকে। ভারতীয় উল্লেখযোগ্য জাতের মধ্যে রয়েছে লাল সীতাফল, ওয়াশিংটন ৯৮৭৮৭, লোক্যাল গ্রাফট, বালানগর প্রভৃতি।
মাটি ও জলবায়ু : বাড়ীর আনাচেকানাচে বাংলাদেশে শরীফার চাষ হয় এবং বস্তুতঃ পানি নিকাশের সুব্যবস্থাযুক্ত যে কোন মাটিতে শরীফা হতে পারে। গাছের গোড়ায় পানি জমা শরীফা একদম সহ্য করতে পারে না। পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকলে প্রচুর বৃষ্টিপাতেও গাছের কোন ক্ষতি হয় না। কংকর বা বালি মাটিতে শরীফা ভালো হয়। তার কারণ এর শিকড় মাটির বেশী গভীরে যায় না।
চারা তৈরী ও চারা রোপণ : শরীফা আতার মতো অনুরূপভাবে চাষ করা হয়।
ফল সংগ্রহ ও ফলন : ফুল আসার পর পুষ্ট হতে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগে। পুষ্ট হলে ফলের রং উজ্জ্বল হবে, ফিকে হলদে আভা দেখা দেবে ও চোখগুলো পুষ্ট হয়ে উঠবে। পুষ্ট ফল সংগ্রহ করার ৮/১০ দিনের মধ্যেই ফল পেকে যাবে। দূরে পাঠাতে হলে ফল একটু আগে তুলতে হবে। ফল বেশী ঠাণ্ডাতে রাখলে কালো হয়ে যায়। একটি পূর্ণবয়স্ক গাছ থেকে ১০০টির কাছাকাছি ফল পাওয়া সম্ভব ।
সাধারণতঃ শরীফা হাত দিয়েই পাড়া হয়। পাড়ার আগে-পরে বেশি জোরে ফল টিপ দিতে নেই।