গাছপালা

ফলসা গাছ

প্রচলিত নাম : ফলসা

ইংরেজী নাম : Phalsa

বৈজ্ঞানিক নাম : Grewia asiatica Linn.

পরিবার : Tiliaceae

পরিচিতি : ফলসা গাছ ছয় থেকে দশ মিটার আন্দাজ উঁচু হয়। এর কাণ্ড ধূসর রং-এ, খসখসে ও সূক্ষ্ম রোমযুক্ত। পাতা ডিম্বাকৃতি ও অগ্রভাগ সরু। পাতার কিনারা অসমানভাবে খাজকাটা, ফল গোলাকার, বড় মটরের মত, ধূসরবর্ণ। পাকলে রঙ ঘোর নীল প্রায় কাল রঙ হয়। ইহার ছাল হতে সাদা আঁশ বের হয়।

বিস্তৃতি : বাংলাদেশ ও ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে ফলসা গাছ জন্মে।

ফুল ফোটার সময় : মার্চ-এপ্রিল। কখনও কখনও জুলাই-আগস্ট মাসেও ফুল পাওয়া যায়। ফুলের একমাস পরে ফল হয়।

ব্যবহার্য অংশ : ফল, পত্র, ছাল ও শিকড়।

ঔষধী ব্যবহার :

১) ফলসা গাছের পাতার রস ব্রন সারায়।

২) পাতা বেটে ফেঁড়ায় প্রলেপ দিলে ফোঁড়া ফাটে।

৩) এর মূলের রস পান করলে ও ছালের ক্বাথ লাগালে বাতের ব্যথা কমে।

৪) পাতার ক্বাথ ক্ষতস্থানে লাগালে ক্ষত দ্রুত নিরাময় হয়।

৫) কাঁচা ফলের রস দুচামচ করে দিনে দুবার পান করলে কষা সর্দি সারে। পাকা ফলের রস শোথে ব্যবহৃত হয়।

৬) কাণ্ডের ছালের রস স্নিগ্ধ গুণসম্পন্ন।

৭) হার্টের রোগীদের পক্ষে পাকা ফলসা খাওয়া উপকারী।

৮) অজীর্ণ রোগে ফলসার রস উপকারী।

সাধারণ ব্যবহার : ফলসার কাঠ দিয়ে বর্শার হাতল ও কাঁধের বাঁক তৈরী হয়। বাড়ির আচ্ছাদন দিতে ফলসা কাঠের তক্তা ব্যবহৃত হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *