প্রিয়াঙ্গু গাছ
প্রচলিত নাম : ফলিনী, শ্যামা, প্রিয়বলী, ফলপ্রিয়া, সোনামনি ও গৌরী
ইংরেজী নাম : Aglaia
বৈজ্ঞানিক নাম : Aglaia roxburghiana Miq.
পরিবার : Reliaceae
পরিচিতি : মাঝারি ধরনের চিরসবুজ গাছ। বাকল ধূসর বর্ণের এবং পাকা ছাল পেয়ারা গাছের মতো খসে পড়ে। কাঠ লাল রঙের হয়। এ উপমহাদেশে প্রায় ২০টি প্রজাতি পাওয়া যায়। ৫-৭ পাতা একটি দণ্ডে সমান্তরাল ও বিপরীতভাবে সাজানো থাকে। পাতা দেখতে অনেকটা বনজাম ও গোলাপ জামের পাতার মতো। পুস্পদণ্ড নিম পুস্পদণ্ডের মতো। ফুলের ছড়া ও ফল নিমের মতো। ফল কাঁচা অবস্থায় হলুদ হয়। ফল জামের মতো, বীজ ১-২টি। ফল কাঁচা অবস্থায় শুকালে কুঁচকিয়ে যায়।
বিস্তার : সমগ্র বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ জেলার রেল লাইনের ধারে প্রায়শঃই জন্মে।
ব্যবহার্য অংশ : কাঠ, ছাল, পাতা ও বীজ।
ঔষধি ব্যবহার :
১) প্রিয়াঙ্গু শীতবীর্য, তিক্তরস, দাহ, পিত্ত ও রক্তদোষনাশক। বমন, ভ্রম ও জ্বরনাশক।
২) কফে মুখের জড়তানাশক ও অগ্নিদগ্ধ দাহে ক্ষতনাশক।
৩) পেটফাঁপা কমাতে পাতা সেদ্ধ পানি খেলে বমি হয় এবং পেট পরিস্কার হয়।
৪) ভগন্দরে তিল তেল, ধনে গুঁড়া ও প্রিয়াঙ্গু ক্বাথ মিশিয়ে মলমের মতো প্রলেপ দিলে অসহ্য বেদনা দূর হয়।
৫) পাতা বাটা ক্ষত শুকায়।
৬) ক্বাথের সঙ্গে ঘি সিদ্ধ করে খেলে রক্তস্রাব বন্ধ হয়।
রসায়নিক উপাদান : বীজের তেলে প্রধানতঃ এরোমাডেন, ড্রিন, সিনেওল, টারপিনেন, সাইট্রাল ও সেসকুটারপিন পাওয়া যায়।