প্রচলিত নাম : মধুচ্ছদা, সহস্রাহি ও নীলকণ্ঠ শিখা
ইংরেজী নাম : Peacock’s tail
বৈজ্ঞানিক নাম : Actiniopteris dicrhotonia Kuhn.
পরিবার : Adiantaceae
পরিচিতি : এটি একটি ছোট তাল চারার মতো ফার্ন সদশ প্রজাতি। গুচ্ছবদ্ধপাতা ময়ূরের পেখম মেলার মতো। গাছে ফুল দেখা যায় না। গাছটি খাটো ও মাটিতে বিস্তৃত। পাতা লম্বা ডাটার সাথে যুক্ত। পত্রাংশ চওড়া ও বহুভাগে বিভক্ত। রাইজোম খাটো ও স্ট্রাইপগুলো ঘন আবদ্ধ, সবুজাভ, ৫-১৫ সে.মি. লম্বা, পাখা আকৃতির, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমান দুই খণ্ডে কর্তিত, খণ্ডগুলো লাঠি বা রেখার মতো।
বিস্তৃতি : দক্ষিণ ভারত, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলের কালো বা লালচে দানাদার মাটিতে ভেজা, আর্দ্র ও ছায়াচ্ছন্ন স্থানে ভালো জন্মে।
ব্যবহার্য অংশ : সমগ্র গাছ।
ঔষধি ব্যবহার :
১) ক্বাথ অতিসারনাশক, লঘু, পিত্ত শ্লেষ্মা, জ্বর, কাশি ও বহুমূত্র রোগে উপকারী।
২) ক্বাথ ম্যালেরিয়া জ্বরে নিরাময় করে।
৩) রাইজোস পানিতে ভিজিয়ে যক্ষ্মা রোগের টনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৪) কাশি ও হুপিং কাশে গাছ চূর্ণ ১ গ্রাম পরিমাণ মাত্রায় দিনে ২ বার গরম পানির সঙ্গে সেবন করলে ভাল হয়।