মনসা গাছ
প্রচলিত নাম : মনসা
ইংরেজী নাম : Monosha
বৈজ্ঞানিক নাম : Euphobia nerrifolia Linn.
পরিবার : Euphorbiaceae
পরিচিতি : মনসা গাছ বেশি উঁচু ও ডালপালাযুক্ত হয় না। এ গাছের গায়ে ও ডালে ছোট ছোট অসংখ্য কাটা হয়। যে-মনসা গাছে বেশি ঘন কাটা থাকে সে-গাছের আঠাই বেশি ভেষজ গুণসম্পন্ন হয়। এ গাছ কাটলে বা এর পাতা কাটলে বা এর পাতা ভাঙ্গলে দুধের মতো সাদা আঠা বেরুতে থাকে। শীঘ্রই আঠা শুকিয়ে যায়। গাছে বসন্তকালে হলুদ রঙের ছোট ছোট ফুল হয়। আবার এ বসন্ত ঋতুর শুরুতেই গাছে ছুরি বা কাটারি দিয়ে আঘাত করে তরুক্ষীর সংগ্রহ করা হয়।
বিস্তৃতি : বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানে এই উদ্ভিদটি দেখা যায় ।
চাষাবাদ : মনসা গাছ পলিমাটিতে যেমন জন্মে, তেমনি কাকুড়ে ও পাথুরে মাটিতে বেঁচে থাকে। এ গাছের ডাল কেটে পুঁতলেই নতুন গাছ হয়।
ব্যবহার্য অংশ : পাতা, কাণ্ড ও আঠা ।
ঔষধী ব্যবহার :
১) হুপিং কাশি হলে মনসার পাতা আগুনে সেঁকে চেপে রস বের করে চিনি মিশিয়ে খেলে কয়েকদিনের মধ্যে কাশি সেরে যায় ।
২) বাতরোগে মনসার পাতাকে আগুনে ঝলসে নিয়ে তার রস দু-চার ফোটা অল্প দুধে মিশিয়ে দু’বো-খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩) অর্শ রোগে মনসা গাছের গোড়ার অংশ টুকরো টুকরো করে কেটে পুড়িয়ে মনসার আঠা সহযোগে পুনরায় পুড়িয়ে মলম তৈরী করে লাগালে রোগ উপশম হয়।
৪) মনসার পাতার কাজল তৈরী করে তা শিশুদের চোখে লাগালে চোখে পিচুই পড়া বন্ধ হয়।
৫) মনসার আঠা দিয়ে একরকম আয়ুর্বেদীয় তেল তৈরী করা হয়। মনসার আঠা অল্প নারকেল তেল সহযোগে আগুনে চড়িয়ে, চটচটে ভাব হলে সেটাকে শিশিতে ভরে রাখতে হয়। এই তেল “এলোপেসিয়া এরিয়েটা” নামক বিক্ষিপ্ত টাকে একদিন অন্তর লাগালে এমন ধরনের টাকে চুলে গজায়।