প্রচলিত নাম : পটোল
ইংরেজী নাম : Patol
বৈজ্ঞানিক নাম : Trichosanthes dioica Roxb.
পরিবার : Cucurbitaceae
পরিচিতি : পটোল বর্ষজীবী লতা, বহুদূরে বিস্তৃত হয়। গাছ একলিঙ্গ বিশিষ্ট। পত্র হৃৎপিণ্ডাকৃতি। পত্রের অগ্রভাগ সরু, বোটা পশমময়। ফুল লম্বাকৃতি কিম্বা ঈষৎ গোলাকার, কাঁচা পাতিলেবুর মত রং বিশিষ্ট, বীজ চ্যাপ্টা, কিনারায় ঢেউখেলালো ।
বিস্তৃতি : সমগ্র বাংলাদেশে মৌসুমী সবজী হিসাবে এর চাষ হয়।
ব্যবহার্য অংশ : পত্র, ফল, গাছের লতা ও মূল।
ঔষধী ব্যবহার :
১) পটল অম্বর রোগকে প্রশমিত করার কাজে বিশেষ উপযোগী। এ কাজে উদ্ভিদটির কাঁচা উঁটা ও পাতা চার/পাঁচ গ্রাম আন্দাজ নিয়ে থেতো করে আধকাপ গরম জলে সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে সকালে খালি পেটে অম্বর রোগ উপশম হয়।
২) দাঁত পরিস্কার না হলে পটলের সঙ্গে দু’গ্রাম ধনে বীজের সাথে হরিতকির শাঁস মিশিয়ে উপরোক্ত উপায়ে ওষুধ তৈরী করে নিয়ে খাওয়া প্রয়োজন।
৩) পটল গাছের মূল তেতো ও মাংসল। এটি শুকিয়ে গেলে এর চূর্ণ উদরী রোগে উপকারী।
৪) মূখের ভেতরটা কোন কারণে হেজে গিয়ে মুখে দুর্গন্ধ হলে পটল পোড়ার রস মধুসহযোগে মুখে খাণিকক্ষণ রেখে কুলকুচা করে ফেলে দিলে মুখের উপসর্গ দূর হয়।
৫) পোড়া পটলের শাস ন্যাকড়ায় বা তুলোয় লাগিয়ে ফেঁড়ার উপর চেপে বসিয়ে রাখলে অচিরেই ফোঁড়া ফেটে যায়।
৬) অনেক সময় বসন্তের মামড়ি শুকিয়ে গেলেও ঝরে পরে না বা ওঠে না। উঠে গেলেও কাল দাগ থেকে যায়। এমন ক্ষেত্রে পটল পুড়িয়ে তার রস গায়ে মাখলে মামড়িগুলি পড়ে যাবে, আর গায়ে কোন কালো দাগও থাকবে না।