গাছপালা

পেঁপে গাছ

প্রচলিত নাম : পেঁপে

ইংরেজী নাম : Papaya

বৈজ্ঞানিক নাম : Carica papaya Linn.

পরিবার : Caricaceae

পরিচিতি : ছোট নরম গাছ। গাছের অগ্রভাগে সমস্ত পাতা একত্র হয়ে মুকুট সষ্টি করে থাকে। গাছ উচ্চতায় ও পর্যন্ত হয়ে থাকে। পেঁপে গাছের উচ্চতা ও জাত অনুসারে বিভিন্ন হয়ে থাকে।

বিস্তৃতি : পেঁপে সুস্বাদু ফলের মধ্যে একটি। বাংলাদেশে ফল ও তরকারী হিসেবে ইহা খুবই জনপ্রিয়। পেঁপে আমাদের দেশজ ফুল নয় এবং এর চাষও খুব সুপ্রাচীন নয়। ভারতবর্ষে ষষ্টদশ শতাব্দীতে প্রথম পেঁপের চাষ আরম্ভ হয়। এরপর ১৬৫৬ খ্রীস্টাব্দে চীনদেশে পেঁপে চাষ প্রবর্তিত হয়। আবিস্কৃত হওয়ার আগে থেকেই হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে পেঁপে প্রচলিত ছিল। পণ্ডিতদের মতে পেপের উৎপত্তিস্থল হিসেবে মধ্য আমেরিকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তরে মেক্সিকো, পানামা ইত্যাদি পঁপের জন্য। কারণ এই অঞ্চলেই পেঁপের বিভিন্ন প্রজাতি দেখা যায়। বাংলাদেশের সর্বত্র পেঁপে জন্মে।

জাত : বাংলাদেশে নানা আকার ও জাতের পেঁপে চোখে পড়ে। এগুলোর নামকরণ বা জাত শনাক্তকরণ কাজে দুর্ভাগ্যবশতঃ আজও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এক জাতের সাথে অন্য জাতের ব্যবধান প্রচুর। গবেষণার মাধ্যমে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট জাত প্রকরণের ব্যবস্থা নিতে পারেন। উল্লেখ্য যে, যেহেতু পরপরাগায়নের মাধ্যমে পেঁপে পাওয়া যায়। তাই আসল জাত শনাক্তকরণ একটি কঠিন ব্যাপার। নিম্নে ভারতীয়, হাওয়াই ও অন্যান্য দেশের কয়েকটি জাতের বর্ননা দেয়া হলো :

ভারতীয় জাত : ভারতের উল্লেখযোগ্য জাতের মধ্যে রয়েছে : (১) ওয়াশিংটন (ফল প্রায় গোলাকার, পাতার বোঁটা বেগুনী, ফল ২০ সে.মি. লম্বা ও পরিধি ৪০ সে.মি., ওজন প্রায় এক কেজি, স্বাদে মিষ্টি); (২)হনি ডিউ (গোলাকার ও মাঝারি আকারের ফল, গাছ বেশ ফলবতী, বীজ কম ও শাসি মিষ্টি), (৩)কুর্গহানি ডিউ (এটি হানি ডিউর রূপান্তরিত জাত, ফল মাঝারি, উপবৃত্তাকার, শাঁস সুমিষ্ট) (৪)

ছি বেঁটে জাতের, পাতা গাঢ় সবুজ, ফল মাঝারি আকারের, পাকলে হলদে রং ধারণ করে, স্বাদে মিষ্টি) (৫) মধুবিন্দু (ফল গোলাকার, ফলন বেশী, মিষ্টি ও গন্ধযুক্ত, ফলের খোসা বেশ মোটা)।

হাওয়াই জাত : সলো- হাওয়াই এর প্রধান জাত। ফল ০.৫ কেজি, কিছুটা লম্বাটে ও খাঁজকাটা। থাইল্যান্ডের কাকডাম, ইন্দোনেশিয়ার সামাস্কা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য দাবী রাখে। থাইল্যান্ডের কাকডাম জাতের পেঁপে বাংলাদেশে চাষ হচ্ছে এবং ফলন ভালো ।

জলবায়ু : পেঁপে গাছ উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু পছন্দ করে। চরম জলহাওয়া অঞ্চলেও পেঁপে চাষ করা যেতে পারে। যদি ছায়া দেওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু ছায়ার ফলের স্বাদ খারাপ হয়ে যায়। প্রচুর রোদ না পেলে ফলের স্বাদ ভাল হয় না। সাধারণতঃ ২৫ সে: উষ্ণতা ও বাৎসরিক ১৫০-২০০ সে.মি. বৃষ্টিপাত পেঁপে চাষের জন্য দরকার। বৃষ্টিপাত কম হলে সমপরিমাণ সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। তাপমাত্রা মোটামুটি ৫’-৪০ সে: মধ্যে থাকা চাই। তাপ এর উপর উঠলে বা নিচে নামলে গাছের ক্ষতি হয়। ঝড়ো হাওয়া পেঁপে গাছ সহ্য করতে পারে না, অনেক সময় গাছ উল্টে বা ভেঙ্গে যায়। এসব ক্ষেত্রে বায়ুনিরোধক গাছ লাগালে ভাল হয়।

মাটি : পেঁপে চাষের জন্য গভীর মাটি দরকার হয় না। ২ মিটার গভীরতা যুক্ত দোঁ-আশ মাটি পেঁপে চাষের উপযুক্ত। পেঁপের শিকড় মাটির উপরিস্তর থেকে প্রচুর রস ও খাদ্য আহরণ করে। কাজেই উপরের মাটি উর্বর ও রসাল হওয়া চাই। পলিমাটি, লালমাটি ও কালমাটি পেঁপে চাষের উপযোগী। মোট কথা, পেঁপে চাষের জন্য হালকা মাটি দরকার যার মাঝারি ধরনের জল ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এবং প্রয়োজনে জল নিষ্কাশন করাও যায়। খুব অম্ল মাটিতে গাছ ভাল হয় না, সেইজন্য গাছ লাগানোর আগে মাটি পরীক্ষা করিয়ে চুন দেওয়া দরকার। পেঁপে গাছ জলবসা জমি একেবারেই সহ্য করতে পারে না, জমি জলবসা হলে গাছের গোড়া পচে যায় ও মরে যায়।

বীজ সংগ্রহ : জানুয়ারী- ফেব্রুয়ারী।

চারা তৈরী : নানারকম অঙ্গ বিভাজন পদ্ধতি থাকলেও সাধারণতঃ বীজ থেকেই চারা তৈরী করা হয়। নীরোগ গাছের পাকা ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করা উচিত । ছাই মাখিয়ে ঘসতে হয়, পরে পরিস্কার জলে ধুয়ে ছায়ার শুকিয়ে নিতে হয়। পেঁপে বীজ খুব বেশীদিন রাখা যায় না। বীজ সংগ্রহের এক মাসের মধ্যে বীজ বপন করতে হবে, না হলে নষ্ট হবার সম্ভাবনা আছে। মাদ্রাজে দেখা গেছে, গাভীন গাই-এর মূত্রে বীজ একদিন ভিজিয়ে বপন করলে অংকুরোদগমের হার অনেক বেশী হয় ও চারাও তাড়াতাড়ি বাড়ে। বীজতলাতে বা পলিব্যাগে মার্চএপ্রিল মাসে বীজ ছড়িয়ে চারা তৈরী করা ভাল। বীজ ছড়াবার আগে শোধন করে দিলে ভাল হয়। এগ্রোসান, জি. এন সেরেসান বা এ্যারোটান ৬ , এই সব দিয়ে বীজ শোধন করা হয়। বীজের গায়ে ঔষধ লেগে যাবে ও বীজ শুধিত হবে।

বীজতলা তৈরীর জন্য ১মি. ২ মি. জায়গা বেছে নিয়ে জমি সামান্য উঁচু করে জৈব সার দিয়ে মাটিকে ঝুরঝুরে করতে হবে। পরে বীজগুলি ১৫ সে.মি. ব্যবধানে সারিতে ও মাটির ২-৩ সে.মি. গভীরে বপন করতে হবে। বীজ লাগান ঘন হলে চারা লম্বা ও রোগা হবে । বতিজ লাগানোর পর বৃষ্টি না হলে হালকাভাবে জল ছড়ান উচিত। চারা বেরোনোর পর নিড়ানী দিয়ে বীজতলা পরিস্কার রাখা উচিত। প্রয়োজনে বীজতলার চারিদিকে গ্যাপমাকসিন/অলড্রিন ছড়িয়ে দিলে পিঁপড়া বা উই এর উপদ্রব থাকে না। গাছকে শক্ত ও ছোট করার জন্য দুবার রোপণ করা হয়। প্রথম বীজ থেকে বীজ বপনের ৪-৬ সপ্তাহ পর অপেক্ষাকৃত বড় বীজতলায় দ্বিগুণ দূরত্বে লাগান হয়। এর প্রয়োজনীয় সার ও সেচ প্রয়োগ করা হয়। পরে সুবিধা মত জমিতে লাগানো হয়। আজকাল নার্সারীতে বিদেশী পেঁপের বীজ ও চত্র পাওয়া যায়।

চারা রোপণ : চাষ দিয়ে জমি সুন্দরভাবে তৈরী করা হলে প্রতি হেক্টরে ৩০-৪০ কুইন্টাল জৈব সার ছড়িয়ে দিতে হবে। জৈব সার সম্পূর্ণভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে জমিটিতে সমতল করতে হবে। অন্যদিকে চারা তোলার আগে বীজতলা ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে চারা তোলা সহজ হয় এবং শিকড় ছেড়া না যায়। বীজতলায় ৬-৮ সপ্তাহে চারাগুলি প্রায় ২০-২৫ সে.মি. লম্বা হবে। এর মধ্যে থেকে সবল সতেজ ও বেশী পাতাযুক্ত চারাগুলি বেছে নিয়ে মাটিসুদ্ধ বীজতলা থেকে তুলতে হবে। চারা লাগানোর নির্দিষ্ট জায়গায় ২০২০ ২০ সে.মি. গর্ত করে চারাগুলো সোজা করে লাগাতে হবে। সাধারণতঃ আড়াই থেকে তিন মিটার দূরে সারি করে ১.৮-২ মিটার ব্যবধানে চারা বসানো হয়। পেঁপের চারা মাদায় রোপণ করা ভালো। চারা রোপণের পূর্বে মাদায় ১৫/২০ কেজি পচা গোবর সার, ১ কেজি খৈল , ৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ৩০০ গ্রাম টি এসপি ও ২০০ গ্রাম মিউরেট অব পটাশ প্রয়োগ করে গর্তের তোলা মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। বীজতলায় চারা যতটুকু মাটির নীচে ছিল ততটুকু নীচে লাগাতে হবে। প্রধান প্রধান ও শাখা/শিকড়ের কোন ক্ষতি হবে না। বিকালের দিকে চারা রোপণ করা ভালো। চারা রোপণ করেই গোড়ার মাটি ভিজিয়ে দিতে হবে এবং যতদিন গাছটি ঠিকমতো না লাগে ততদিন পর্যন্ত পরিমাণমতো পানি দিয়ে যেতে হবে। প্রতি মাদায় তিনটি করে চারা রোপণ করা ভালো যায় মাদায় একটি করে স্ত্রী গাছ কেটে ফেলতে হবে এবং পরাগায়নের জন্য প্রতি ২০/২৪ টি স্ত্রী গাছের জন্য একটি করে পুরুষ গাছ রেখে বাকী সব পুরুষ গাছ কেটে ফেলতে হবে। বর্ষা মৌসুমের প্রথমাংশে অর্থাৎ মে-জুন-জুলাই মাসে চারা রোপণ করা ভালো। তবে গাছ। জলাবদ্ধতায় রাখা উচিত নয়।

মাধ্যমিক পরিচর্যা : আগাছা দমন, গাছের গোড়ার মাটি স্থাপন, পানি সেচ ও বাড়তি সার প্রয়োগ ইত্যাদি মাধ্যমিক পরিচর্যার মধ্যে অন্যতম। নিয়মিতভাবে আগাছা দমন করে রাখতে হবে। তার কারণ আগাছা জাব পোকার আশ্রয়স্থল এবং পোকার দ্বারাই পেঁপের প্রধান শত্রু ভাইরাসজনিত কুটে রোগ ছড়ায়। শুকনো মওসুমে নিয়মিত সেচ দেয়া প্রয়োজন। শীতকালে বৃষ্টি না হলে ৮/১০ দিন অন্তর সেচ দিতে হবে। খরা মৌসুমে সপ্তাহে একবার সেচ দেয়া প্রয়োজন। পেঁপে গাছে প্রতি বছর ১৫০-২০০ সে.মি. বৃষ্টি দরকার । তবে গাছের গোড়ায় পানি জমতে দেয়া যাবে না। এতে গোড়া এ পচা রোগে গাছ মরে যায়। গাছের চারদিকে গোল করে সেচ প্রয়োগ সর্বোৎকৃষ্ট ।

যেহেতু পেঁপে ঝড়-ঝঞা বেশী সহ্য করতে পারে না তাই বাগানের চারদিকে ঝড় প্রতিরোধক গাছ অথবা বাঁশের ঝাড় করে দেয়া ভালো। পেঁপে রোপণের তিন-চার মাস পর ২০০ গ্রাম করে প্রতি চারায় ইউরিয়া ও মিউরেট অব পটাশ প্রয়োগ এবং ৯/১০ মাস পর ২০০ গ্রাম টিএসপি এবং এক টুকরী পচা গোবর সার প্রয়োগে গাছ সুন্দর এবং সতেজ ফুলও হতে দেখা যায়। তবে বয়স অনুসারে প্রতি গাছের গোড়ায় ৪:৮:৫ অনুপাতে NPK বছরে একবার নিম্নলিখিতভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

১. ৬ মাসের কম বয়সে গাছপ্রতি ১০০ গ্রাম।

২. ৬-১২ মাস বয়সে ৩৫০ গ্রাম প্রতি গাছে।

৩. ১ বছরের বেশী বয়সে ৯০০-১২৫০ গ্রাম প্রতি গাছে।

এছাড়া উপরের হারে জৈব সারও প্রতি বছরে গাছের গোড়ায় দিতে হবে। জৈব ও অজৈব সার বর্ষার আগে দেওয়াই বাঞ্চনীয়।

সাথী ফসল : বাগান আকারে পেঁপের চাষ করলে স্বল্পমেয়াদি আন্ত: ফসল যথা: মূলা, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি লাগানো চলে। এসব আন্তঃ ফসল বাগানে আগাছা দমনে সাহায্য করবে এবং মালিককে বাড়তি আয় প্রদান করে। তবে অন্তবর্তী ফসল লাগালে খেয়াল রাখতে হবে যেন মূল ফসলের সাথে প্রতিযোগিতা না করে। পেঁপে অন্যান্য ফলের মধ্যে নিজেই একটি আন্তঃ ফসল। তাই পেঁপে চাষের ক্ষেত্রে অন্যান্য ফলের সাথে এই প্রতিযোগিতার কথা স্মরণ রাখতে হবে। পেঁপে ফল ধরতে আরম্ভ করলে মধ্যবর্তী শস্যের চাষ করা যাবে না। তার কারণ হলো পেঁপে শিকড় মাটির অল্প নিচে ছড়িয়ে থাকে এবং চাষ দিলে গাছের ক্ষতি হয়।

পেঁপে গাছে প্রায়ই প্রচুর ফল ধরে এবং অনেক সময় ফল পড়ে যায়। গাছে অতিরিক্ত ফল থাকলে কিছু ফল পেড়ে দিয়ে হালকা করে দিলে বাকী ফলগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পায়। ছোট অবস্থায় ফল পড়ে যাওয়ার কারণ সেচের অভাব, হরমোনের তারতম্য ও রোগের আক্রমণ। কুটে রোগ হলে গাছ উপড়ে ফেলে দূরে মাটি চাপা দিতে হবে বা পুড়ে ফেলতে হবে এবং ঐ এলাকায় আর পেঁপে চাষ করা যাবে না। হরমোনের তারতম্য ১% প্ল্যানোফিজ ছিটিয়ে প্রতিকার করা যায়।

ফল সংগ্রহ ফলন : চারা রোপণের এক বছরের মধ্যেই ফল আসতে আরম্ভ করে এবং ৫/৬ বছর পর্যন্ত গাছের ফল ধারণক্ষমতা থাকে। তবে তিন বছর পর ফল ছোট হয়ে যায়। উল্লেখ্য যে, জায়গা বিশেষে একটা গাছ ৮/১০ বছরও বেচেঁ থাকতে পারে। ফলধরা আরম্ভ করলে প্রথম দুই বছর ফলন ভালো হয়। পুষ্ট হওয়ার সময় কোন কোন জাতের ফল হলদে রং ধারণ করে, তবে সব জাতের ফল থেকে পানির মতো তরল আঠা বের হৰে। ফল অপুষ্ট থাকলে দুধের মতো ঘন আঠা বের হবে। পুষ্ট ফল গাছ হতে পাড়ার ২/১ দিনের মধ্যেই পেকে যায়। গাছে ফল পাকাতে পারলে পাকানো ফল স্বাদে ভালো হয়, তবে পাখি বা যেখানে বানর-হনুমান আছে তাদের উপদ্রবে তা অনেক সময় সম্ভব হয়ে উঠে না। ফল একটা একটা করে হাত দিয়ে পাড়তে হবে। ফলের গায়ে যেন কোন আঁচড় না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

একটি ফলবতী গাছ থেকে সাধারণতঃ ৩০ থেকে ১২৫ টি ফল পাওয়া যায় এবং জাতের তারতম্য অনুসারে প্রতিটি পেঁপের ওজন ০.৫ কেজি থেকে ৭/৮ কেজি হতে পারে। বাংলাদেশের জন্য খাটো পেঁপের জাত ভালো। তার কারণ এদেশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আবাসস্থল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রায় ৩,৪০০ হেক্টর জমিতে পেঁপের চাষ হয় এবং বাৎসরিক উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় আটাশ হাজার মেট্রিক টন। প্রতি হেক্টরে আনুমানিক উৎপাদন ৮৫ কুইন্টাল। দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে পেঁপের চাষ হয়। তবে যশোহর, খুলনা, চট্টগ্রাম, ঢাকা, পাবনা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালি, ফরিদপুর ও কুমিল্লা অঞ্চলে পেঁপের চাষ বেশী।

সাধারণ ব্যবহার : ফল সুস্বাদু খাদ্য। কাঁচা পেঁপেতে পাপাইন ও কাইমোপাপাইন নামক এনজাইম আছে যা পরিপাকে সহায়তা করে গাছের কষ থেকে ট্যানিন পাওয়া যায় এবং উহা ওলের কারখানায় ব্যবহৃত হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *