মানকচু
প্রচলিত নাম : মান, মানক, মহাপাত্র ও ছত্রপত্র।
ইংরেজী নাম : Giant taro
বৈজ্ঞানিক নাম : Alocasia indica (Roxb.) Schott.
পরিবার : Araceae
পরিচিতি : বহুবর্ষজীবী গুল্ম। কন্দ থেকে নূতন গাছ জন্মে। বায়ব কাণ্ড দৃঢ়, ১-৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। কন্দ থেকে পাতা বের হয়। পাতার বোঁটা ত্রিভুজাকৃতি ৬০-১০০ সে. মি. লম্বা হয়ে থাকে। কন্দের ব্যাস ১৪-১৬ সে. মি. হয়ে থাকে। ফুল গন্ধযুক্ত, স্পেডিক্স এবং স্পেথ ২৩ সে. মি. এর মতো লম্বা হয়। ফল বেরী।
ফুল ও ফল : শীতের শুরুতে ফুল ও ফল হয়।
বিস্তার : সমগ্র বাংলাদেশে গোলাঘরের আনাচে কানাচে ও প্রাচীরের পাশে লাগানো হয়।
সাধারণ ব্যবহার : কন্দ তরকারী, পাতার ডাটা শাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাতা বর্ষাকালে গ্রামে ছাতার মতো ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার্য অংশ : কন্দ, উঁটা ও পাতা।
ঔষধি ব্যবহার :
১) ফুলা ও ব্যথা স্থানে পাতা গরম করে সেঁক দিলে ব্যথা সারে।
২) মানকচুর ক্ষার সৈন্ধব লবন ও সরিষা তেলের সাথে জিহ্বায় ঘষলে ঘা নিরাময় হয়।
৩) কচুর শাকে প্রচুর লৌহজ ভিটামিন আছে বিধায় রক্তবৃদ্ধিতে সহায়ক।
৪) প্লীহা উদরজনিত শোথ ৬ গ্রাম পাতা, ১২০ মি. লি. গরুর দুধসহ সেবনে নিরাময় হয়।
৫) ১০ গ্রাম মানকচু চূর্ণ ১ কাপ গরম দুধের সাথে সেবন করলে জন্ডিস আরোগ্য হয়।
রাসায়নিক উপাদান : গ্লুকোজ, ফুক্টোজ, কামপেস্টেরল, কোলেস্টেরল, সিটোস্টেরল, ট্রাইগ্লোকাইটিন এলকালয়েড বিদ্যমান।