পুঁদিনা
প্রচলিত নাম : পুঁদিনা
ইংরেজী নাম : Corn Mint, Marsh Mint. Field Mint.
বৈজ্ঞানিক নাম : Mentha viridis Linn.
পরিবার : Labiatae
পরিচিতি : পুঁদিনা একটি বর্ষজীবী গাছ। এর গন্ধ তীব্র, পাতা খুব ছোট ছোট। পাতার উভয় কিনারায় খাজ কাটা থাকে। পুষ্পদণ্ড খুবই নরম। বহির্বাস লোমযুক্ত এবং পুস্পস্তবকের মধ্যে থাকে। পুঁদিনার আরও কয়েকটি শ্রেণী আছে।
বিস্তৃতি : বাংলাদেশের সর্বত্র।
চাষাবাদ : আমাদের দেশে যে পুঁদিনার চাষ করা হয় তার কোন ফুল হয় না। পুদিনা সাধারণতঃ মূল বা কাটিং থেকে চাষাবাদ হয়।
ঔষধি ব্যবহার :
১) প্রস্রাব কমলে : অনেক সময় শরীরে পানির অভাব ঘটলে অথবা কড়া মাত্রার এ্যালোপ্যাথিক ঔষুধ খেলে প্রস্রাব যেমন পরিমাণে কমে, তেমনি প্রস্রাবের রং লালচে ধরনের হয়ে থাকে। কুড়িটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে তারপর এক গ্লাস পানি পান করলে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়বে এবং রং ও স্বাভাবিক হয়ে আসে।
২) পপট ফাপায় : পুদিনা গাছের শুকনো ডাল ও পাতা ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সে-পানি পরিস্কার পাতলা কাপড়ে ছেকে খেলে পেট ফাপায় সুফল পাওয়া যায়।
৩) দাঁতের রোগে : যে কোন ধরনের দাঁতের রোগে পুঁদিনা গাছের শুকনো ছালকে গুঁড়ো করে দিনে দুবার দাঁত মাজলে দাঁতের রোগ ভাল হয়ে যায়।
৪) বমি বন্ধ করতে : ১০ গ্রাম পুদিনার টাটকা পাতা কেটে অল্প পানি দিয়ে খেলে বমি বন্ধ হবে।
৫) মুর্চ্ছা রোগে : মূর্চ্ছা যাবার পর রোগীর নাকের কাছে পুঁদিনার টাটকা ফলের গন্ধ ধরলে রোগী খুব তাড়াতাড়ি জ্ঞান ফিরে পায়।
৬) কামলা রোগে : এ রোগে ১০ গ্রাম পুঁদিনার শুকনো ডাল, এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানিতে ৬ ঘন্টা ভিজিয়ে, অর্ধেক সকালে খালি পেটে এবং বাকী অর্ধেক দুপুরে খেলে রোগের উপশম হয়। তবে নিয়মিত সাতদিন খেতে হবে।
অন্যান্য : উদ্ভিদটি সুগন্ধিযুক্ত বিধায় তরকারীতে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। পরিপাকের জন্য এটি বেশ উপকারী। এছাড়া বমি, কলেরা, পেটের শূল বেদনা এবং ভেঁকুর উঠা বন্ধে এটি বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। পাতার রস থেকে টনিক তৈরী হয় যা জ্বর এবং কাশির জন্য বেশ উপকারী।