প্রচলিত নাম : মেড়াশিঙ্গে
ইংরেজী নাম : Merashinge
বৈজ্ঞানিক নাম : Gymnema sylvestre R.Br.
পরিবার : Asclepiadaceae
পরিচিতি : মেড়াশিঙ্গে গুল্ম জাতীয় বনৌষধি। ইহা দৃঢ় কাষ্ঠাল উঁচু বৃক্ষে আশ্রয় করিয়া থাকে। ইহার শাখা প্রশাখাগুলি সরু, লম্বা, নরম ও ক্ষুদ্র লোমযুক্ত। এর পাতা ডিম্বাকার, পাতার আগা সুচালো। পাতা তিন থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার লম্বা। ফুল ক্ষুদ্র ফিকে পীতবর্ন। ফল ছোট, অগ্রভাগ লম্বা। বীজ সরু, চ্যাপ্টা ও পাতলা । ইহার মূল কতকটা অনন্তমূলের ন্যায়। শরৎকালে ফুল ও শীতের শেষে ফল হয়।
বিস্তৃতি : বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মায়। আবার অনেকে ঔষধের নিমিত্তে এর চাষও করেন।
ব্যবহার্য অংশ : মুল পত্র ও সমগ্র উদ্ভিদ।
রসায়নিক উপাদান : এই গুল্ম থেকে Gymnemic acid পাওয়া যায়।
ঔষধী ব্যবহার :
১) সর্দি ও কাশিতে এই উদ্ভিদের পাতার রস খাওয়ালে সর্দি বের হয়ে গিয়ে উপসর্গ উপশম হয়।
২) মেড়াশিঙ্গের পাতার রস চোখের কর্নিয়ার রোগে ব্যবহার করলে উপকার হয়।
৩) অম্বল রোগে কয়েকদিন নিয়ম করে এই উদ্ভিদের পাতার রস সেবন করলে খুব উপকার হয়।
8) মেড়াশিঙ্গের ফল কফ ও বায়ুনাশক।
৫) সাপের কামড়ের ক্ষতস্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৬) এর মূলের ছাল রেড়ির তেলের সঙ্গে মিশিয়ে যে কোন পোকা মাকড়ের দংশনে লাগালে বিশেষ উপকার হয়।
৭) প্লীহা ও যকৃত বেড়ে গেলে এ উদ্ভিদের পাতার ক্বাথ পেটে প্রলেপ দিলে রোগের উপশম হয়।