যৌন রোগে চিকিৎসা নির্দেশনা
যৌন রোগ সঠিক ভাবে নির্ণয় না করে গেলে তার চিকিৎসা করা যায় না। প্রায়মারী হেলথ কেয়ার চিকিৎসকগন যৌন রোগীকে কোন প্রকার চিকিৎসা প্রদান করবেন না। কারো মাঝে যৌন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে তাকে দ্রুত একজন চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ অথবা এমবিবিএস চিকিত্সকের নিকট প্রেরণ করতে হবে।
মনে রাখতে হবে-যৌন রোগ ও যৌন সমস্যা এক বিষয় নয়। যৌন রোগ জীবানু দ্বারা হয় আর যৌন ক্রিয়া সংক্রান্ত লোগাবস্থাগুলোকে যৌন সমস্যা বলা হয়।
যৌন রোগের লক্ষণ
রোগ ভেদে লক্ষণ ভিন্নতর হয়। তবে কারো যদি ঝুঁকি পুর্ণ যৌন মিলনের ইতিহাস (অর্থাৎ স্বামী/স্ত্রী ব্যতিত অন্যকারো সাথে যৌনমিলন বা যৌন ক্রিয়া) থাকে এবং যৌনাঙ্গ দিয়ে সাদা / পুঁজের মত তরল বের হয়, যৌনাঙ্গ ও তার আশে পাশে কোন ক্ষত দেখা দেয়, আঁচিল সদৃশ্য কিছু দেখা দেয়, তলপেটে বেদনা, মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌন মিলনে অস্বস্তি ইত্যাদি অর্থাৎ প্রজনন সম্পর্কিত কোন সমস্যা দেখা দেয় তবে তা যৌন রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
চিকিৎসা সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা
যৌন রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটি যৌন রোগে আক্রান্ত রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষায় একাধিক যৌনরোগ ধরা পরে।
যৌনরোগ যেহেতু জীবাণু ঘটিত রোগ তাই এ সকল রোগের ক্ষেত্রে জীবানু সম্পূর্ণরূপে বিতারিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা করাতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ মত ঔষধ সেবন করতে হবে। চিকিৎসা শেষ হয়েছে মনে হলে পুনরায় পরীক্ষা করে দেখতে হবে দেহে ইনফেকশন আছে কি না। নিশ্চিতকরণ পরীক্ষা না করে চিকিৎসা বন্ধ করা যাবেনা।
অবশ্যই ফুল কোর্স ঔষধ সেবন করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিত ঔষধ বন্ধ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে ঔষধ চলা অবস্থায় চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যপারে সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।
যৌনরোগে আক্রান্ত হলে করণীয়
একজন প্রায়মারী হেলথ কেয়ার চিকিৎসক একজন যৌন রোগী কে কিছু উপদেশ প্রদান করবেন যাতে কেউ যৌনরোগে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে এই রোগ অন্য কারো দেহে না ছড়ায়। একজন আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ
সংশ্লিষ্ট যৌনরোগ সম্পর্কে জানা (রোগের বিস্তার, লক্ষণ, জটিলতা ইত্যাদি সম্পর্কে)।
পরিবারের সদস্যদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে- বাবা-মা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী-সন্তান; )। যেমন- পরিবারের একজনের হেপাটাইটিস বি হলে উপরোক্ত সকলের পরীক্ষা করানো আবশ্যক।
সমপূর্ণ সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত যৌনক্রিয়া (প্রযোজ্য অনুসারে প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ) হতে বিরত থাকা। প্রয়োজনে সঠিক নিয়মে কনডম ব্যবহার করা।
রক্ত দান করা থেকে বিরত থাকা।
কোন সার্জিক্যাল অপারেশনের প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।
নিজের রেজর/ব্লেড অন্য কাউকে না দেয়া। । সম্পূর্ণ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত একজন এমবিবিএস মানের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।
গর্ভাবস্থায় হলে একজন প্রসূতীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো চলা।