চর্ম ও যৌন রোগ, নিরাপদ চিকিৎসা

কুষ্ঠ

কুষ্ঠ

কুষ্ঠ একটি দীর্ঘমেয়াদী সংক্রামক রোগ যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়। এ রোগ দ্বারা মানুষের চর্ম ও স্নায়ু আক্রান্ত হয়। প্রধানত হাঁচি-কাঁশির মাধ্যমে কুষ্ঠরোগ বাতাসে ছড়ায় এবং শ্বাসের মাধ্যমে রোগ মানবদেহে প্রবেশ করে। তবে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে এই রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা আছে। কুষ্ঠ রোগ বংশগত কোন রোগ নয়। কুষ্ঠ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আড়াই মাস থেকে কয়েক বছরের মধ্যে এ রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

 

লক্ষণ

ধরণভেদে কুষ্ঠ রোগের লক্ষণ ভিন্নতর হতে পারে। কুষ্ঠরোগের সাধারণত লক্ষণ-

 

টিউবারকিউলয়েড কুষ্ঠ : ত্বকে লালচে দাগের পাশাপাশি কিছু কিছু জায়গায় মসৃণ সাদাটে দাগ দেখা যায়। আক্রান্ত স্থানে কোন অনুভূতি থাকেনা (স্পর্শ, বেদনা ইত্যাদি)।

 

লেপরোমেটাস কুষ্ঠ : ত্বকের বিভিন্ন স্থানে (যেমন- কানের লতি, মুখমন্ডল ইত্যাদি) : অনেক ক্ষুদ্র পিন্ড অথবা অনেকখানি স্থান জ্বড়ে বিভিন্ন আকারের লালচে দাগ দেখা যায়। আক্রান্ত স্থানে কোন অনুভূতি থাকে না এবং মাংসপেশী দূর্বল হয়ে পড়ে। ত্বকের বেশির ভাগ অংশ এবং শরীরের বেশিরভাগ অঙ্গ যেমন-কিডনী, নাক, অন্ডকোষ আক্রান্ত হতে পারে।

অন্যান্য উপসর্গ 

স্পর্শ, ব্যথা ও তাপমাত্রার অনুভূতি হ্রাস পায়। আক্রান্ত স্থানে আঘাত পেলে তার অনুভূতি হয় না বিধায় আক্রান্ত স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকতে পারে। ত্বকের যেসব স্থান সংক্রমিত হয় সেসব জায়গায় পিন্ড দেখা যায় বা ফুলে যায়।

চিকিৎসা উপরোক্ত উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্রই রোগীকে দ্রুত সরকারী হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *