গাছপালা

জামরুল বা সাদা জাম গাছ

প্রচলিত নাম : জামরুল, সাদা জাম

ইংরেজী নাম : Jamrul

বৈজ্ঞানিক নাম : Syzygium samarangense (BL). Merr.

পরিবার : Myrtaceae

পরিচিতি : জামরুল গাছ ও ফল দুইটিই সুন্দর। পাকা বড় ফল আভিজাত্যের প্রতীক। বাংলাদেশে খুব অল্প সংখ্যক জামরুল গাছ। রয়েছে। থোকা থোকা সাদা জামরুলপূর্ণ গাছ বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক। জামরুল সাদা ও লাল জাতের হয়।

বিস্তৃতি : মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া জামরুলের আবাসভূমি। বর্তমানে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, বার্মা, কম্পুচিয়া, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ ও ইন্দোনেশিয়াতে এ গাছটির চাষ হতে দেখা যায়।

সাধারণ ব্যবহার : পাকা ও পরিপক্ক জামরুল খেতে সুস্বাদু। পুষ্টিমূল্যেও জামরুল সমৃদ্ধ, আহার উপযোগী। জামরুল কাঠ শক্ত হলেও আসবাবে ব্যবহার্য নয়, তবে জ্বালানী ছাড়াও গৃহস্থালির ছোটখাট কাজ চলে।

মাটি ও জলবায়ু : যে কোন পানি নিকাশের সুব্যবস্থাযুক্ত মাটিতেই জামরুল হতে পারে। তবে উর্বর দোআঁশ মাটি জামরুল গাছের উজ্জ্বল বৃদ্ধির সহায়ক। জামরুল নিরক্ষীয় এলাকায় সবচেয়ে ভালো জন্মে। তবে উপনিরক্ষীয় এলাকায়ও এর চাষ করা যায়। জামরুল তুষারপাত সহ্য করতে পারে না।।

চারা তৈরী ও রোপণ : বীজ ও গুটি কলম দিয়ে বাংলাদেশে জামরুলের বংশবৃদ্ধি করা হয়। বীজের চারায় ফল আসতে ৭/৮ বছর সময় লাগে। কলমের গাছে ৪/৫ বছরে ফল আসে। বর্ষার পূর্বে চারা রোপণ করতে হয়। চারা রোপণের সময় গর্তে ২০-৩০ কেজি জৈবসার ও পচা গোবর সার প্রয়োগেই চারার সফল বৃদ্ধি হয়ে থাকে। চারা রোপণের পর বৃষ্টি না হলে পরিমাণ মতো সেচ দিতে হবে। বাগান আকারে জামরুলের চাষ করতে হলে ৭/৮ মিটার দূরে দূরে চারা রোপণ করা চলে। শুকনা, কীট-পতঙ্গের আক্রমণে আঘাতপ্রাপ্ত ডাল ছাঁটাই ব্যতীত গাছ ছাঁটাই নিপ্রয়োজন।

ফল সংগ্রহ ও ফলন : জামরুল গাছে ফুল আসে ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসে এবং ফল পাকে জুন-জুলাই মাসে। গাছের শাখায় গোছায় গোছায় ফল উৎপন্ন হয়। পাকা ফল হাতে সংগ্রহ করাই ভালো। ঝাকি দিয়ে ফল মাটিতে ফেললে বাজারমূল্য কমে যায় এবং বেশী সময় সংরক্ষণ করা যায় না। একটি ফলবান গাছ থেকে বছরে ৫০০/৭০০ ফল সংগ্রহ করা যায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *