জ্বর ও সংক্রামক রোগ, নিরাপদ চিকিৎসা

ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসা ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।

ইনফ্লুয়েঞ্জা কি ? 

শ্বাসতন্ত্রের একটি ইনফেকশন ইনফ্লুয়েনজা (influenza)। এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। ইনফ্লুয়েনজা মূলত শ্বাসতন্ত্রের রোগ। এর প্রধান লক্ষণ জ্বর, সর্দি, কাশি, শরীর ব্যথা ইত্যাদি। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফু এর ক্ষেত্রে দিনে ৩ লিটার (১২ গ্লাস) পানি/চিনির শরবত পান করতে হবে। বেশি করে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার (লেবু, শাকসবজি) খেতে হবে। জ্বরের কারনে খাবার রুচি নষ্ট হলে অল্প অল্প করে বার বার খাবার খেতে হবে। মনে রাখতে হবে ইনফ্লুয়েনজা একটি ভাইরাস জনিত রোগ, তাই এখানে এন্টিবায়োটিক কোন কাজে লাগে না। তাই এ ক্ষেত্রে ৫ দিন অতিবাহিত না হলে বা কোন জটিলতা (যেমন শ্বাস কষ্ট, বুক ব্যথা ইত্যাদি) দেখা না গেলে কোন এন্টিবায়োটিক সেবন করা যাবে না (সেবন করলে তা হবে অযথা)। ইনফ্লুয়েনজা দেখা গেলে লক্ষণভিত্তিক ঔষধ সেবন করতে হবে।

ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণের লক্ষণগুলো

১। ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ হলে শুরুর দিকে সাভাবিক ঠান্ডা লাগার মতোই লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি, কাশি ইত্যাদি;

২। সাভাবিক ঠান্ডা লাগার সাথে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের প্রধান পার্থক্য হচ্ছে, এটি দ্রুত গতিতে বেড়ে যায় ; 

৩। হঠাৎ ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিংবা তার বেশি জ্বর চলে আসে ; 

৪। পাশাপাশি গলাব্যথা থাকবে ; 

৫। এছাড়া সর্দি-কাশি , মাথাব্যথা ;  

৬। ডায়রিয়ার লক্ষণও থাকতে পারে ;  

৭। ক্রমশ শরীর দুর্বল হয়ে যাবে ; 

৮। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং বমি-ভাব হওয়া অথবা বমি হওয়া ।

ইনফ্লুয়েঞ্জা নির্ণয় ও ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসা 

ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসনালি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং তারপর সেটা পলিমেরেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার মাধ্যমে চিকিৎসক  নিশ্চিত হতে পারবেন যে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন কি না।

অনলাইনে আমাদের অবিজ্ঞ দাক্তারদের থেকে  ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসা নেয়ার জন্য  এখানে ক্লিক করুন  এপয়েন্টমেন্ট

[videogallery id=”influenza-alo”]

[videogallery id=”influenza-homeo”]

[videogallery id=”influenza-harbal”]

 

চিকিৎসা ও প্রতিকার

১। আক্রান্ত ব্যক্তির সর্বপ্রথম করনীয় হল পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত করা। 

২। শরীরের পানির ঘাটতি পুরনের জন্য প্রচুর পরিমানে পানি এবং ফলের রস পান করতে হবে। 

৩। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা জিনিস অন্যরা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন প্লেট , গ্লাস সহ অন্যান্য জিনিসপত্র । 

৪। রোগীকে যতটা সম্ভব ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে এবং উষ্ণ আবহাওয়ার ভিতর থাকলে ভালো হবে। 

৫। আসলে ইনফ্লুয়েঞ্জার ইনফেকশন হল ড্রপলেট ইনফেকশন। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, থুতু ইত্যাদির অংশ রুমাল বা জামায় লেগে থাকলে, তা থেকে বাড়ির অন্য লোকেদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বাড়ির বাকি লোকদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে । 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *