শেরপানা গাছ বা নাগদমনী গাছ
প্রচলিত নাম : নাগদমনী, নাগপত্রা, নাগপুস্পী, বিষাপহা ও ব্রহ্মজট
ইংরেজী নাম : Indian worm Wood.
বৈজ্ঞানিক নাম : Artemisia vulgaris Linn.
পরিবার : Compositae
পরিচিতি : নাগদমনী ৬০-২৪০ সে.মি. উঁচু সুগন্ধি, রোমযুক্ত গুল্মসদৃশ ওষুধি । সিলেটের খাসিয়া পাহাড় এলাকায় এ প্রজাতি পাওয়া যায়। পতা বৃহৎ ডিম্বাকৃতি, খণ্ডিত, ঝালরসদৃশ বা ১-২ পক্ষল কর্তিত। পাতার উপরের রং ধূসর এবং নিচের রং সাদাটে লোমযুক্ত। যখন গাছে ফুল হয় তখনকার পাতাগুলো ছোট হয়। লম্বা ধূসর বর্ণের পুষ্পদণ্ডের চারদিকে ফুল হয়।
বিস্তার : বালাদেশের সর্বত্র।
ওষুধি ব্যবহার :
১) নাগদামনী রসে তিক্ত, কটু, লঘু ও রুক্ষ। পিত্ত কফ-বিকার দূর করে। মূত্রকৃচ্ছতা, ব্রন (ফোড়া) নাশক, বোলতার হুলের জ্বালা এবং জারগর্দভ রোগ দূর করে। জারগর্দভ রোগকে কবিরাজ নিকেতন চক্রবর্তী মাম্পস বলে উল্লেখ করেছেন। পক্ষান্তরের, শিবকালী ভট্টাচার্য জালগর্দভ শব্দের অর্থ এবং ব্যাখ্যা করে লিখেছেন: জাল মানে অস্ফুট কুঁড়ির মতো উদ্ভেদ দ্রুত সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়বে, জ্বরও হবে। এগুলো পাকবে কিন্তু বোঝা যাবে না।
২) চুল ওঠা বন্ধ করে। ঋতু সংশোধক, কৃমিনাশক এবং ক্ষুধাবর্ধক, জ্বরঘ্ন । শিশুদের হামে এর হালকা কৃাথ দেয়া হয়।
৩) পাতা এবং পুষ্টিত ডগার কৃাথ স্নায়ু এবং খিচুনি সমস্যা এবং হাঁপানিতে উপকারী।
৪) হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়ায় এটি আর্টেমিশিয়া ভালগারিস নামেই পরিচিত। মৃদুজাতীয় মৃগীরোগে, রঙিন আলোতে মাথা ঘুরলে যে জ্বরের ঘামে রসুনের গন্ধ পাওয়া যায়, আক্ষেপিক মোচড় থেকে মস্তক পশ্চাৎ দিকে বেঁকে যায়, মুখ বাম দিকে বেঁকে যায়, মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চয় লক্ষণে ও ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
রাসায়নিক উপাদান : এ উদ্ভিদ একটি বানতেল, একটি ক্রিস্টালাইন পেন্টাসাইক্লিক অ্যালকোহল- ফারনেল, স্টিগমাষ্টেরল, বিটা সিটোস্টোরল এবং আলফা এমাইরিন আছে।