গ্যাস্ট্রিক / পেপটিক আলসার
পেপটিক আলসার হলো পাকস্থলি হতে নিঃসৃত এসিডের কারনে পাকস্থলি ও ডিওডেনামের গায়ে ক্ষত হওয়া। সাধারন ভাষায় এ রোগকে গ্যাস্ট্রিক বলা হয়।
পেপটিক আলসারের প্রধান কারন হলো হেলিকোব্যকটার পাইলরি নামক ব্যকটেরিয়া, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া, ধুমপান, ব্যথানাশক ঔষধ, মানসিক চাপ ইত্যাদি। পেপটিক আলসারের প্রধান লক্ষণ গুলো হলো খালি পেটে বা খাবার পর পেটের উপরের দিকে ব্যথা, পেটে গ্যাস জমা বা অস্বস্তি বোধ হওয়া, গলায় জ্বালাপোড়া, বুকে অস্বস্তিবোধ বা ব্যথা, বমি, মাঝরাতে বা শেষ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে পেট ব্যথা অনুভব করা, আলকাতরার মতাে কাল পায়খানা হওয়া ইত্যাদি।
পেপটিক আলসারের লক্ষণকে অবহেলা করা যাবে না। পেপটিক আলসারের কারনে পাকস্থলি বা অন্ত্র হতে রক্তক্ষরণ হতে পারে এমনকি ছিদ্র হয়ে যেতে পারে, ক্যান্সার সৃস্টি হতে পারে, অন্ত্র সরু হয়ে যেতে পারে ইত্যাদি।
প্রাথমিক চিকিৎসা
সাধারণ ব্যবস্থাপনা
১। সময়মত খাবার খাওয়া;
২। হোটেলের ভাজাপোড়া খাবার থেকে বিরত থাকা;
৩। মানসিক চাপ পরিহার করা। / বেদনানাশক ঔষধ এড়িয়ে চলা;
৪। তামাক সেবন থেকে বিরত থাকা। ঔষধ ১) এন্টি আলসারেন্ট: প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর;
৫। জেনেরিক: ইসোমেপ্রাজল (Esomeprazole) ।
ব্রান্ড: ট্যাব-ম্যাক্সপ্রো-২০ (Maxpro-20) প্রস্তুত কারক-রেনাটা।
ডোজ: প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে সকালে ও রাতে খাবার ৩০ মি পূর্বে-২ মাস
২) এন্টাসিড : খালি পেটে কিংবা খাবার ৩ ঘন্টা পর পেট বেদনা হলে
জেনেরিক: এলুমিনিয়াম+ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড; ব্রান্ড-এন্টানিল (Antanil) , প্রস্ততকারক: ইবনেসিনা। ডোজ: প্রাপ্ত বয়স্ক- ২ ট্যাবলেট তিনবেলা খাবার ৩০ মিনিট পর চিবিয়ে বা। চুষে সেব্য-১৫ দিন।।
উপরোক্ত চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য উপশম না হলে পরবর্তীতে এমবিবিএস চিকিৎসকের
নিকট প্রেরণ করতে হবে।
আমাদের অবিজ্ঞ দাক্তারদের থেকে পরামর্শ নিতে এখানে ক্লিক করুন এপয়েন্টমেন্ট