গাছপালা

গামারী বা গামার কাঠ গাছ

প্রচলিত নাম : গামারী

ইংরেজী নাম : Gamar

বৈজ্ঞানিক নাম: Gmelina arborea Linn.

পরিবার : Verbenaceae

পরিচিতি : মাঝারী আকারের পত্র হরিৎ বৃক্ষ। উচ্চতায় ২০-২৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং বুকসমান উচ্চতায় ব্যাস ৭৫ সে. মি. পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাতা বিপরীত, ৭-২০x ৬-১০ সে. মি., ওভেট, একোমিনেট, ৬-১০টি শাখা শিরাযুক্ত এবং পানের মতো আকৃতির খুবই পাতলা। পত্ৰবোটা ২-১২ সে. মি. লম্বা হয়। বাকল সাদা বা উভঙ্গুল ধূসর বর্ণের হয়। ফুল ছোট ও বাদামী হলুদ, ২.৫ সে. মি. লম্বা হয় । ফল ড্রোপ, প্রায় ২.৫ সে. মি. ব্যাসের হয়ে থাকে। ফল ১-২ বীজ বিশিষ্ট।

বিস্তৃতি : বাংলাদেশের সর্বত্রই লাগানো হয়। তবে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, ময়মনসিংহ বনাঞ্চলে বেশী পাওয়া যায় ।

বীজ সংগ্রহ : মে-জুন।

বীজের ওজন : কেজিতে ১৮০০টি।

বংশ বিস্তার : গাছের নীচ থেকে পাকা ফল সংগ্রহের পর পচিয়ে বীজ আলাদা করা হয় এবং পলিব্যাগ, থলি অথবা সীড বেডে বপন করা হয়। চারার বয়স ৯-১২ মাস হলে স্ট্যাম্প কাটিং অথবা পলিব্যাগে চারা মাঠে লাগাতে হয়।

সাধারণ ব্যবহার : কাঠ খুবই শক্ত দৃঢ়, টেকসই ও ভাল পালিশ নেয়। কাঠ হালকা লাল বা ধূসর হয়। এটা খুবই ভাল কাঠ ও ওজন ৫০ কেজি/ঘঃ মিটার। এ কাঠ তক্তা, আসবাবপত্র, প্যানলিং, সূক্ষ্মকারুকাজ, প্রিন্টিং ব্লক, বাদ্যযন্ত্র, ক্রাস, পাট ববিন, বুনন মিলের অংশ, কেবিনেট কাজ গাড়ী ও যানবাহন,কষিউপকরণ, ছবির ফ্রেম, ডোঙ্গা, জাহাজ নির্মাণ, নৌকার পাটাতন, হালকা নির্মাণ, চায়ের বাক্স, প্লাইউড, কাগজের মণ্ড, ম্যাচ কাঠি ও ম্যাচ বাক্স প্রভৃতি কাজে ব্যবহৃত হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *