চর্ম ও যৌন রোগ, নিরাপদ চিকিৎসা

একজিমা

 

একজিমা

একজিমা হলো ত্বকের একটি ইনফ্লামেশন জণিত রোগ। এটি ছোঁয়াচে নয়।

 

একজিমার কারণ হিসেবে বাহ্যিক প্রভাবক: যেমন- বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক, ধাতব পদার্থ, এলার্জেন, সূর্যালোক ইত্যাদি এবং আভ্যন্তরিন প্রভাবক: যেমন- বিভিন্ন ধরনের খাবার, ঔষধ, বংশগত প্রভাব ইত্যাদিকে দায়ী করা যেতে পারে।

 

একজিমার ধরণভেদে এর লক্ষণ ভিন্নতর হতে পারে। সাধারণত ভাবে প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত স্থান লাল ও স্ফিত হবে। ফুস্কুরি দেখা যাবে। অত্যন্ত চুলকানী ও ক্ষরণ (রস নির্গমন) হওয়া। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুঁজ বিন্দু দেখা যাবে। পরবর্তী পর্যায়ে ক্ষেত্রে চুলকানী ও ক্ষরন হ্রাস পাবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থান থেকে আংশিকভাবে শুস্ক ত্বক উঠে যাবে (আক্রান্ত স্থানকে মাছের আঁইশের মত দেখা যেতে পারে ) । আক্রান্ত স্থান লালচে, কালচে হয়ে যাবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত ত্বক পুরু হয়ে যেতে পারে। পরবর্তীতে এটি কখনো কখনো শুস্ক থাকবে আবার কখনো কখনো আর্দ্র হয়ে উঠবে এবং পার্শ্ববর্তী স্থানে আক্রমন ঘটাবে।

 

 

অনেক ক্ষেত্রেই একজিমার চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী। ক্ষেত্র বিশেষে ৩ মাস থেকে ১ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে এর চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন হতে পারে। এই রোগের চিকিৎসা ধাপে ধাপে করার প্রয়োজন হতে পারে। তাই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় রোগী প্রাথমিক অবস্থায় না গিয়ে মধ্য ও অতি জটিল পর্যায়ে চিকিৎসকের নিকট যান। ফলে দ্রুত রোগ উপশম সম্ভব নাও হতে পারে। এতে রোগী পুনরায় চিকিৎসকের নিকট যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন এবং মনমত চিকিৎসা করাতে থাকেন (যেমন- অন্যকারো প্রেসক্রিপশন দেখে ঔষধ ব্যবহার, পল্লী চিকিৎসকের নিকট থেকে মলম কিনে ব্যবহার ইত্যাদি)। ফলে রোগ আরো জটিলতর হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি প্রেসক্রিপশনে রোগীর উন্নতি হয়েছে। তাই আর পুনরায় চিকিৎসকের নিকট না গিয়ে নিজে থেকেই প্রেসক্রিপশনের ঔষধ সেবন ও ব্যবহার করতে থাকেন। এতেও প্রথম দিকে উপশম হলেও পরবর্তীতে আরো জটিলতর হয়। এটি এক

 

তাই যে কোন ধরণের রোগে রোগাবস্থার উন্নতি হোক আর না হোক সময়মত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *