এনাটমি ও ফিজিওলজি

ডায়জেস্টিভ সিস্টেমে ক্রিয়াশীল ঔষধ

ডায়জেস্টিভ সিস্টেমে ক্রিয়াশীল ঔষধ

ডায়জেস্টিভ সিস্টেম বা পরিপাকতন্ত্রে ক্রিয়াশীল ঔষধ সমূহকে নিম্নরূপে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে

 

ক) পেপটিক আলসারে ব্যবহৃত ঔষধসমূহ : পেপটিক আলসারে ব্যবহৃত ঔষধ সমূহকে নিম্নলিখিতভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে

এন্টি আলসারেন্ট বা গ্যাস্ট্রিক এসিড ক্ষরণ হ্রাসকারী;

১) এইচ-২ রিসেপ্টর এন্টাগোনিস্ট: রেনিটিডিন, ফ্যামোটিডিন, সিমেটিডিন।

২) প্রোপ্রোটন পাম্প ইনহিবিটর: অমিপ্রাজল, ইসোমেপ্রাজল, ল্যানসোপ্রাজল, ডেক্সলেনসোপ্রাজল, প্যানটোপ্রাজল, রাবেপ্রাজল।

এন্টাসিড: এন্টাসিড হলো ক্ষারীয় বস্তু যা স্টমাকের হাইড্রোক্লোরিক এসিড প্রশমনের মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিক এসিডিটি (পাকস্থলির অম্লতা) হ্রাস করে এবং পেপটিক আলসারের বেদনার হ্রাস ঘটায়।

১. সাধারণ এন্টাসিড

এলুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড + ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রোক্সাইড মিশ্রণ

সোডিয়াম এলজিনেট + পটাসিয়াম বাই কার্বনেট

২. এন্টাসিড তৎসহ এন্টিফ্লাটুলেন্স (পেটের বায়ুরোধী) ক্রিয়া

এলুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড + ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রোক্সাইড + সিমেথিকন।

মেগালড্রেট + সিমেথিকন।

৩. এন্টাসিড় তৎসহ লাক্সাটিভ ক্রিয়া

ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রোক্সাইড/ বা মিল্ক অব ম্যাগনেশিয়া।

এন্টি এইচপাইলোরী ড্রাগ; যেমন- এমক্সিসিলিন, ক্লারিথ্রোমাইসিন, মেট্রোনিডাজল ইত্যাদি।

 

 

খ) এন্টিফ্লাটুলেন্ট: এসকল ঔষধ ইন্টেস্টাইনাল গ্যাস (আন্ত্রিক বায়ু) নিস্কাশনে ব্যবহৃত হয়।

১) সাধারণ বা একক প্রস্তুতি

সিমেথিকন।

২) এন্টাসিডের সাথে সংমিশ্রন

এলুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড + ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রোক্সাইড + সিমেথিকন।

ম্যাগালড্রেট + সিমেথিকন।

গ) এন্টিস্পাজমোডিক : এসকল ঔষধ ভিসেরাল স্পাজম (বেদনা) প্রতিরোধ বা দূর করে। যেমন: হায়োসিন বিউটাইল ব্রোমাইড, টাইমোনিয়াম

ঘ) মোটিলিটি স্টিমুলেন্ট : যে সকল ঔষধ গাট এর মোটিলিটিতে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। সাধারণভাবে এই ড্রাগ গুলোকে নিম্নরূপে শ্রেণিবিভাজন করা যেতে পারে

মোটিলিটি স্টিমুলেন্ট; যেমন- ডমপেরিডন

এন্টি মোটিলিটি; যেমন- লোপেরামাইড

ঙ) এন্টি ইমেটিকস: যে সকল ঔষধ বমি প্রতিরোধ বা হ্রাস কল্পে ব্যবহৃত হয় তাদের এন্টিইমেটিকস বলা হয়। এন্টিইমেটিকস এর শ্রেণীবিভাগ ও উদাহরণ।

১. এন্টিকোলেনারজিক; যেমন-হায়য়াসিন।

২. এইচ-১ এন্টিহিস্টামিন; প্রোপ্রোমিথাজিন, সিনারিজিন, মেক্লিজাইন ইত্যাদি।

৩. নিউরোলেপটিক; ক্লোরোমোজিন, প্রোপ্রোক্লোরোমোজিন ইত্যাদি।

৪. ৫-এইচটি৩ এন্টাগোনিস্ট; অনডাট্রেন, প্যালিনোট্রেন।

৫. গাট মোটিলিটি স্টিমুলেন্ট : ডমপেরিডন।

চ) এন্টিডায়রিয়াল ড্রাগ ডায়রিয়ার চিকিৎসা কল্পে যে সকল ঔষধ ব্যবহার করা হয় তাদের এন্টিডায়রিয়ার ড্রাগ বলা হয়। শ্রেণিবিভাগ

ওরাল রিহাইড্রেশ সল্ট

এন্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট; যেমন-সিপ্রোপ্রোফ্লোক্সাসিন, মেট্রোনিডাজল

এন্টি মোটিলিটি ড্রাগ; যেমন-লোপেরামাইড ।

অন্যান্য : রেসিকাডোট্রিল।

ছ) ল্যাক্সেটিভ ও পারগেটিভ: এগুলো সমূহ কোলনের (বৃহদান্ত্রের) অভ্যন্তরস্থ বস্তুকে কোমল করে বাইরে নিস্কাশন করতে ব্যবহৃত হয়।

বাল্ক ফরমিং: যেমন- ইসবগুলের ভূসি।

স্টিমুলেন্ট; যেমন- বিসাকোডাইল, সিনোসয়েড।

অসমোটিক; যেমন- ল্যাকটুলোজ, মিল্ক অব ম্যাগনেশিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *