নাক কান গলা রোগ, নিরাপদ চিকিৎসা, শ্বাসতন্ত্রের রোগ

সায়ানোসিসের কারণ ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।

দেহে কার্বনডাইঅক্সাইডের পরিমান বেড়ে গেলে আঙ্গুলের প্রান্তভাগ, ঠোঁট, নাকের অগ্রভাগ , কানের লতি ইত্যাদি কালচে নীল বর্ণ ধারন করে। এটাই সায়ানোসিস (cyanosis)। সাধারণত শ্বাসকষ্ট মারাত্নক হলে সায়ানোসিস দেখা দেয়। সায়ানোসিস এর রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে। সায়ানোসিস রোগীর শ্বাস কষ্ট থাকলেও নেবুলাইজার দেয়া যাবে না ।

সায়ানোসিস  রোগের কারণঃ 

১। সায়ানোসিস বিভিন্ন ধরণের রোগের কারণে হতে পারে । তার মধ্যে এজমা, নিউমোনিয়া, উচ্চ রক্ত চাপ ইত্যাদি । 

২। সায়ানোসিস এর একটি কারণ হৃদ রোগের আক্রমন অথবা দম বন্ধ হয়ে আশা।

৩। রক্তে অক্সিজেনের অভাব হলে সায়ানোসিস এর সম্ভাবনা থাকে। 

৪। ফুসফুসের ধমনীতে রক্ত ক্লট কিংবা দীর্ঘ মেয়াদী ফুসফুসে সমস্যা । 

৫। যখন রক্ত অল্প পরিমানে অক্সিজেন সরবরাহ করে তখন তাকে কেন্দ্রীয়  সায়ানোসিস বলে। 

৬। শিশুদের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়  সায়ানোসিস এর ক্ষেত্রে সাধারণত জন্মগত হৃদরোগ থাকে।

৭। দীর্ঘদিন ব্রঙ্কিয়াল শ্লেষ্মা ঝিল্লির প্রদাহ জনিত কারনেও সায়ানোসিস  হয়ে থাকে। 

৮। শরীরের ত্বক যদি হঠাৎ নীল হয়ে যায় কিংবা নীল হয়ে যাওয়া লক্ষ্য করেন তাহলে অতি দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিন। এটা যে কোনও বয়সের লোকের ক্ষেত্রে হতে পারে। 

সায়ানোসিস  রোগের লক্ষণঃ 

১। এই রোগের প্রথম লক্ষণ ত্বক অথবা  শ্লেষ্মা ঝিল্লিতে একটি কালচে নীল বর্ণ ধারন করে। 

২। শ্যাম অথবা কালো চামড়াযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সাধারণত হালকা সায়ানোসিস সনাক্ত করা একটু কঠিন হতে পারে। তবে সত্যি বলতে রোগীর রক্তের অক্সিজেন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস না হওয়া পর্যন্ত এই লক্ষণগুলি লক্ষ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। 

৩। সাধারণ রক্তে ​​অক্সিজেনের পরিমান 95% থেকে 100% এর মধ্যে থাকে । তবে রোগীর অক্সিজেনের স্যাচুরেশন 90% এর নীচে না আসা পর্যন্ত রোগীর ত্বকে নীল রঙের আভা দেখা যায় না। 

৪। কিছু লোকের জন্য সায়ানোসিস লক্ষ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে।  তবে এটি ঠোঁট এবং ঝিল্লির বর্ণ দেখে শনাক্ত করা যায় । মাঝে মাঝে নীল বর্ণের পরিবর্তে বেগুনি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু চোখের চারপাশের ত্বকও সেই নীল বা বেগুনি রঙের আভা অর্জন করতে পারে।

৫। সায়ানোসিস রোগীর বুকে ব্যথা, শ্বাস দ্রুত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তখন অনতি বিলম্বে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যেতে হবে। 

সায়ানোসিস রোগের চিকিৎসাঃ 

সায়ানোসিস হওয়ার পর রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত বাড়ানোর জন্য অক্সিজেন থেরাপি গ্রহণ করতে হবে।  পাশাপাশি সায়ানোসিসের জন্য যে কোনও অতিরিক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তবে অবশ্যই সেটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী । 

 

অনলাইনে আমাদের অবিজ্ঞ দাক্তারদের থেকে পরামর্শ নিতে এখানে ক্লিক করুন  এপয়েন্টমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *