জবা ফুল
প্রচলিত নাম : জবা
ইংরেজী নাম : Shoe flower / China rose
বৈজ্ঞানিক নাম: Hibiscus rosa-sinensis Linn.
পরিবার : Malvaceae
পরিচিতি : নানা প্রজাতির জবা গাছ থেকে নানা রঙের জবা ফুল পাওয়া যায়। বহু শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট এই গাছের উচ্চতা ১৩ মিটার পর্যন্ত হয়। জবার পাতা সরল, ধারগুলি খাঁজকাটা। সারাবছরই কম বেশী ফুল ফোটে। দেখতে অনেকটা ঘন্টার মতো। তবে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে ফুলের প্রাচুর্য ঘটে।
বিস্তৃতি : সমগ্র বাংলাদেশে এর চাষ হয়।
ব্যবহার্য অংশ : ফুল, পাতা ও শিকড়।
চাষাবাদ : সারাদিন রোদ পায় এবং বর্ষায় পানি জমে না এমন জমিই জবা গাছের পক্ষে আদর্শ। বাগানে এই গাছ লাগানো চলে। ৩০-৪০ সে. মি. টবেও মাটি ভরে এই গাছ লাগানো চলে। কাটিং, গুটি কলম, দাবা কলম এবং চোখ কলম দ্বারা এই গাছের বিস্তার ঘটানো যায়।
ঔষধী ব্যবহার :
১) জবা গাছের টাটকা পাতার রস জলপাই তেলের সাঙ্গে মিশিয়ে আগুনে ফুটিয়ে মাথায় তেল তৈরী করা হয়।
২) এ তেল কেশবর্ধক বলে খুবই জনপ্রিয়।
৩) জবা ফুলের কুঁড়ির রস জ্বরনাশক।
৪) জবা ফুল দুধ, চিনি ও জিরার সঙ্গে সেবন করলে গণোরিয়া রোগের উপশম হয়।
৫) এছাড়া, মহিলাদের ঋতুবিলম্বিত হলে জবা ফুল পিষে সেবন করলে সুফল পাওয়া যায়।
অন্যান্য ব্যবহার : জবার ফুল জুতা কাল করার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং জবা ফুল সূর্য পূজার উপাদান।