চিকুনগুনিয়া জ্বরের চিকিৎসা ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।
chikungunya treatment, and all the Procedures of the doctors.
চিকুনগুনিয়া (Chikungunya ) একটি ভাইরাসজনিত ইনফেকশন যা চিকুনগুনিয়া ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট এবং মশা বাহিত রোগ । চিকুনগুনিয়া জ্বরের লক্ষণ ও চিকুনগুনিয়া জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করা হল। এডিস অ্যালবােপিকটাস ও এডিস এজিপটি নামক ভাইরাসবাহী স্ত্রী মশার কামড়ে মানুষের মধ্যে এই রোগটি হয়। ডেঙ্গুর জীবাণু বহনের জন্যও এই মশাকে দায়ী করা হয়।
চিকুনগুনিয়ার লক্ষণসমূহ
সংক্রামক মশা কামড়ানোর চার থেকে সাত দিনের মধ্যে দেহে চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ দেখা যায়।
১. আকস্মিকভাবে তীব্র জ্বর (১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট)।
২. মাথা ব্যথা।
৩. মাংস পেশিতে ব্যথা।
৪. শরীরের অস্থি সন্ধিতে ব্যথা যা অনেক তীব্র ও কয়েকদিন স্থায়ী হয়। এমনকি জ্বর সেরে যাওয়ার পরও বেদনা থাকতে পারে। বেদনার স্থিতিকাল কয়েকমাসও হতে পারে।
৫. দুর্বলতা ও ক্লান্তি।
৬. বমি বমি ভাব, খাবারে অরুচি।
৭. ত্বকে র্যাস। এই র্যাস দেখতে কিছুটা হামের মত। জ্বরের পূর্বে, জ্বর থাকাকালীন দিনে কিংবা জ্বরের পরেও ত্বকে র্যাস হতে পারে ।
৮. ডেঙ্গুর সাথে চিকুনগুনিয়ার লক্ষণে মিল থাকায় এটিকে ডেঙ্গু বলেল ভুল হতে পারে।
চিকুনগুনিয়া জ্বরের চিকিৎসাঃ
কোন রোগীর মাঝে উপরোক্ত রোগ লক্ষণ দেখা গেলে জ্বরের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে রোগ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে যা করনীয়ঃ
১। মশার বংশবিস্তারের স্থানগুলো নির্মূল করা
- বাড়ির বাইরে গাছের টব ও জলাধারগুলো শুকননা, পানিশূন্য রাখতে হবে যেসব জিনিসে বৃষ্টি বা বৃষ্টির পানি জমা হয়, যেমন– পুরনো টায়ার, ডাবের খােসা ইত্যাদি বাসার আশে পাশে না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলে দিবেন। ।
- টবে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
- ফ্রিজের নিচের ট্রেতে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
- ফুলদানিতে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
- জনস্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে স্থির জলাধার, জলাবদ্ধ এলাকা পরিস্কার করে, নির্মাণস্থলে বা বর্জ্য পানি ট্রিটমেন্টের স্থানে স্থির জল সরিয়ে যাতে পাড়ার ললাকের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা দেন এজন্য সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।
২। নিজেকে মশার কামড় থেকে রক্ষা করা।
- জানালা–দরজায় নেট এবং খাটে মশারি ব্যবহার করতে হবে।
- শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, বৃদ্ধ ইত্যাদি ব্যক্তি যারা দিনের বেলা ঘুমান তাদের মশারি ব্যবহার করতে হবে।
- মশার কয়েল, ভেপর ম্যাট, এরোসল ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
- এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায়। তাই এমন কাপড় পড়তে হবে যেন শরীরে মশা বসতে না পারে। প্রয়োজনে অনাবৃত অংশে মশারোধী ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
অনলাইনে অবিজ্ঞ ডাক্তার দের থেকে ট্রিটমেন্ট নেয়ার জন্য আমাদের HD Health এ যোগাযোগ করুন।
[videogallery id=”chikungunya-alo”]
[videogallery id=”chikungunya-homeo”]
[videogallery id=”chikungunya-harbal”]
চিকুনগুনিয়া জ্বরের চিকিৎসা এবং ব্যাথার চিকিৎসাঃ
এই ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা মূলত উপসর্গ ভিত্তিক হয়ে থাকে । এই রোগের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা সেইভাবে নেই। তবে আক্রান্ত ব্যাক্তির কিছু করনীয়
রয়েছে।
১। আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে । প্রচুর পরিমানে পানি ও তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে ।
২। জ্বর ও ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ওষুধ খেতে হবে।
৩। যদি গিটের ব্যথা থাকে তাহলে এর জন্য গিঁটের উপরে ঠাণ্ডা পানির স্যাঁক আরামদায়ক হবে এবং হালকা ব্যায়াম উপকারী হতে পারে।
৪। প্রাথমিক উপসর্গ ভালো হওয়ার পরও যদি গিঁটের ব্যথা ভালো না হয়, তবে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৫। রোগীর অবস্থা ক্রমশ অবনতি হচ্ছে বোঝা গেলে, দ্রুত নিকটস্থ সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।