হার্ট ও রক্তনালীর রোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ
কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের উপর ক্রিয়াশীল ঔষধসমূহকে নিম্নরূপে শ্রেণিবিভাগ করা যেতে পারে
১) কার্ডিয়াক ডিজরডারে ব্যবহৃত ঔষধ
এন্টি এরিদমিক: এসকল ঔষধ কার্ডিয়াক এরিদমিয়া চিকিৎসাকল্পে ব্যবহৃত হয়। যেমন-ভেরামিল, বিটাব্লকার সমূহ।
এন্টিএনজাইনা ও এন্টি ইসকেমিক ড্রাগ : এনজাইনা পেকটোরিস নিরাময়, উপশম ও প্রতিরোধ কল্পে যে সকল ঔষধ ব্যবহার করা হয় তাদের এন্টি-এনজাইনা এবং এন্টি ইসকেমিক ড্রাগ বলা হয়ে থাকে।
০ আক্রান্ত হলে তা দূরীকরনের জন্য: জিটিএন, আইসোসরবিড – ডাই নাইট্রেট।
০ দীর্ঘদিন প্রতিরোধকল্পে; বিটাব্লকার সমূহ, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ” ব্লকার সমূহ, ভ্যারাগ্রামিল।
০ নিফেডিপিন, এমলোডিপিন, নিমোডিপিন ইত্যাদি।
২) এন্টি হাইপারটেনসিভ
প্রকৃত এন্টিহাইপারটেনসিভ : যে সকল ঔষধ রক্তচাপ হ্রাস করে এবং ফলশ্রুতিতে হাইপারটেনশন (উচ্চরক্তচাপ)-এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় তাদের এন্টিহাইপারটেনসিভ ড্রাগ বলা হয়।
ক) সিম্পায়থালাইটিক ড্রাগ
১. কেন্দ্রীয়ভাবে কার্যকর ঔষধ; যেমন -মিথাইলডোপা,
২. এডরেনার্জিক এন্টাগোনোস্টিক: যেমন-এটেনোলল, প্রাজসিন, লেবেটালল, কার্ভিডিলল ইত্যাদি।
খ) ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার; যেমন- ভেরামিল, নিমোডিপিন, ফেনোডিপিন, নিকার্ডিপিন, এমলোডিপিন।
গ) এনজিওটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম ইনহিবিটর; যেমন ক্যাপটোপ্রিল
ঘ) এনজিওটেনসিন-২ রিসেপ্টর এন্টাগোনিস্ট; যেমন- লোসারটান, ক্যানডেসারটান, আইবেসারটান, অলমেসারটান, ভালসারটান।।
সহায়তাকারী:
ক) ডায়ইউরেটিক: এ ঔষধগুরো মূত্র তৈরি বৃদ্ধি করে। যেমন হাইড্রোক্লোরোথায়াজাইড, ক্লোরথ্যালিডোন ,ফুসেমাইড, বিউমেটানাইড,এমিলোরাইড, স্পাইরোনোল্যাকটোন ইত্যাদি।
খ) ভ্যাজোডাইলেটর; রক্তনারী প্রসারিত করে। যেমন- হাইড্রালাজিন, নাইট্রোসাইড।
গ) লিপিড লোয়ারিং এজেন্ট: রক্তের লিপিডের মাত্রা হ্রাস করে। যেমন এটরভাসটাটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড।
৩) এন্টিপ্ল্যাটলেট: এসকল ঔষধ প্ল্যাটিলেট ক্রিয়াকে হ্রাস করে এবং এভাবে। আর্টারীতে থ্রম্বাস সৃষ্টিকে প্রতিহত করে। যেমন-এসপিরিন, ক্লোপিডোগ্রেল
৪) হেমোস্টাটিক ড্রাগ: যে সকল ঔষধ হেমোস্টাসিস (রক্ত জমাট বাঁধা) ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে তাদের হোেস্টাটিক ড্রাগ বলা হয়। উদাহরন-ট্র্যানেক্সামিক এসিড।