গাছপালা

বুলা গাছ বা ভোলা গাছ

প্রচলিত নাম : ভোলা

ইংরেজী নাম : Bhola

বৈজ্ঞানিক নাম  : Hibiscus tiliaceus Linn

পরিবার : Malvaceae

পরিচিতি : ছোট আকারের প্রচুর শাখাযুক্ত গুল্ম বা বৃক্ষ। উচ্চতায় ৬-৮ মিটার পর্যন্ত হয়। পাতা সরল, গোলাকৃতির, উপরের দিক সবুজ ও নীচের দিক ধূসর। ফুল বড়, একক, হলুদ বা কমলা বর্ণ থেকে আস্তে আস্তে লাল বর্ণ ধারন করে। ফল ক্যাপসুল ও ৫ খণ্ডে বিভক্ত। সুন্দরবনের নদী বা খালের তীরে গুল্ম বা ঝোপ হিসেবে জন্মে। হৃৎপিণ্ড আকৃতির পাতার ব্যাস ১০-১৫ সেন্টিমিটার, পাতার শীর্ষ তীক্ষ্ণ, পত্রফলকের উপরের অংশ সবুজ, নীচের দিক সাদাটে এবং রোমযুক্ত। ডালের শীর্ষে পাতার কক্ষে দৃষ্টি আকর্ষক ফুল প্রায় সারাবছর ধরেই ফোটে।

চাষাবাদ : এ গাছ কাদা মাটিতে ও স্যাতস্যাতে বেলে মাটিতেও হয়। এ গাছের লবনাক্ততা সহ্য করার ক্ষমতা খুবই বেশী। বীজ মে-জুন মাসে পড়ে পানিতে ভাসতে ভাসতে উপকূলে কোথাও মাটি পেলেই বীজের অঙ্কুরোদগম হয়ে বাড়তে থাকে। বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা লবনাক্ত পানিতে অনেক দিন থাকে। এ গাছের চাষ বীজ হতে অথবা ডাল (কাটিং) হতে করা যায়। বীজ হতে সহজ পদ্ধতি। তবে ডাল (কাটিং) কেটে লবনযুক্ত ভেজা মাটিতে বা নার্সারী বেডে রোপণ করতে হয়। মূল বের হলে মাঠে লাগানো উচিত। বীজ সরাসরি বপন করে গাছ উৎপন্ন করতে হলে প্রথম ২/১ বৎসর আগাছা দমন রাখতে হবে। ইহা ৮ x ৮’ দূরত্বে লাগানো যেতে পারে। অবশ্য, পরবর্তীতে বাছাই করে কেটে দিতে হয়। যেহেতু কাটিং ও সরাসরি বীজ বপন করে বাগান সৃজন করা যায় তাই ভোলার নার্সারী উত্তোলনের কোন দরকার হয় না।

বিস্তৃতি : বাংলাদেশের সুন্দরবন ও উপকূলীয় অঞ্চল।

সাধারণ ব্যবহার : কাঠ জ্বালানী হিসেবেই বেশী ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ঘরের খুঁটি, পাটাতন, নৌকার কাজে, বাড়ীর বিবিধ উপকরণে, বেড়াতে ও কুড়ালের ভঁটে ব্যবহৃত হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *