চায়া বা ছায়া বা গোরকষাগাঞ্জা বা পানশিয়া গাছ
চায়া গাছ
প্রচলিত নাম : ছায়া, গোরকষাগাঞ্জা, পানশিয়া
ইংরেজী নাম : Aerva
বৈজ্ঞানিক নাম : Aerva lanata (Linn.) Juss.
পরিবার : Amaranthaceae
পরিচিতি : বর্ষজীবী বীরুৎ মাটিতে সামান্য গড়িয়ে বা শক্ত খাড়া হয়ে জন্মে। গোড়া কাঠের মতো শক্ত, শাখা তুলোর মতো লোমযুক্ত। বহু শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট ৩০-৪৫ সে. মি. লম্বা। এ গাছটি যখন ফুলে ফুলে ভরে ওঠে তখন দেখতে সত্যিই অপূর্ব লাগে। পাতা ছোট বোঁটাযুক্ত, প্রায় গোলাকৃতি বা ডিম্বাকৃতি, ধূসর-সাদা এবং নরম রোমাবৃত। ফুল সবুজাভ সাদা ছোট, পাতার কোলে কোলে যেন সাজানো মনে হয়। ফুল হালকা সুগন্ধযুক্ত। ফল খুব ছোট, ডিম্বাকৃতি, ডগা বা শীর্ষ সূঁচের মতো সরু, বীজ কালো। বর্ষাকালে গাছ জন্মে।
বিস্তার : বাংলাদেশের সর্বত্র।
ফুল ফোটার সময় : অক্টোবর-জানুয়ারী ।
বীজ সংগ্রহ : ফেব্রুয়ারী-মার্চ।
ব্যবহার্য অংশ : সমগ্র উদ্ভিদ।
সাধারণ ব্যবহার : ফুলের বালিশ আরামপ্রদ।
ঔষধি ব্যবহার
১) কষায় তিক্ত। কটুবিপাকে, উষ্ণবীর্য, অতিশয় মূত্রকর, বাতশ্লৈষ্মিক দোষনাশক ও অশ্মরী রোগের মহৌষধ ।
২) প্রস্রাবে জ্বালা, প্রদাহ, জননেন্দ্রিয় টাটানি ও তলপেট ভারী হলে কাঁচা গাছ ২০ গ্রাম কুচি কুচি করে কেটে থেতলিয়ে ৩-৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ সেকে ঠাণ্ডা করে সকাল-বিকাল পান করলে উপকার হয়।
৩) এছাড়া, গাছ সিদ্ধ পানি বা ক্বাথ মূত্রাশয় ও কিডনীতে পাথুরি জমলে অপসারিত হয়।
৪) ডায়াবেটিক রোগীর রক্তে চিনি (সুগার) কমানোর জন্য ক্বাথ পানিসহ সেবনে উপকারী।