পেট ব্যথা
অনেক কারন রয়েছে। পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা, কিডনীর সমস্যা, মূত্র ইনফেকশন, জননাঙ্গের ইনফেকশন বা সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে পেট ব্যথা হতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিতে হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা
সাধারণ ব্যবস্থাপনা
রোগীকে আরামদায়ক অবস্থায় শুইয়ে দিতে হবে। মুখে কোন খাবার না দিয়ে শুধু সামান্য পানি পান করতে দিতে হবে। পানির বদলে গ্লুকোজের শরবত দেয়া যায়।
ব্যথা পুরাতন হলে সংশ্লিষ্ট প্রেসক্রিপশন দেখতে হবে।
ঔষধ
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য
১) এন্টি আলসারেন্ট
জেনেরিক: ওমিপ্রাজল (omeprazole) ;
ব্রান্ড- স্যাসেট: লোসেকটিল (পাউডার আকারে) (Losectil)
প্রস্ততকারক: এসকেএফ
ডোজ: প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে একটি আধা কাপ পানির সাথে মিশিয়ে খাইয়ে দিতে হবে।
২) এন্টি স্পাজমোডিক
জেনেরিক: টাইমমানিয়াম মিথাইল সালফেট (tiemonium methyle sulphate);
ব্রান্ড-এলজিন-৫০ (algin-50) প্রস্ততকারক: রেনাটা
ডোজ: ২ ট্যাবলেট একসাথে ।
শিশুদের ক্ষেত্রে: যদি শিশু পেট বেদনার কথা বলতে পারে তবে
১) এন্টিআলসারেন্ট :
জেনেরিক: রেনিটিডিন (ranitidine)
ব্রান্ড-রেনিডিন (ranidin) । প্রস্তুতকারক: একমি ল্যাবরেটরিজ ,
ডোজ
০ ৮ বছরের অধিক : প্রাপ্ত বয়স্কদেন ন্যায়
০ ৪-৮ বছর : ৭৫ মিগ্রা (১ চামচ) দিনে ২ বার খাবার ৩০ মিনিটি পূর্বে।
২) এন্টিস্পাজমোডিক
জেনেরিক: টাইমোনিয়াম মিথাইল সালফেট tiemonium methyle sulphate);
ব্রান্ড-সিরাপ এলজিন (algin) প্রস্তুতকারক: রেনাটা । ডোজ: ৪ বছরের অধিক বয়স-১ চামচ সিরাপ দিনে ৩ বার।
শিশুদের ঘন ঘন পেটবেদনা কৃমির লক্ষণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশুকে কৃমির ঔষধ
সেবন করাতে হবে।
পেট ব্যথার রোগীকে কখন হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে
পেট ব্যথার সাথে ডায়রিয়া থাকা।
পেট বেদনার সাথে বমি থাকা
পেট বেদনা, বমি ও পায়খানা বন্ধ (বিগত ২৪ ঘন্টায়) থাকা।
রোগী অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
রোগীর পেট শক্ত হয়ে যাওয়া।
গর্ভাবস্থায় পেট বেদনা হলে।
পেট বেদনার সাথে জ্বর থাকা।
গর্ভবতী
ঔষধ প্রয়োগের
১ ঘন্টার মধ্যে উন্নতি না হলে।
প্রাথমিক চিকিৎসায় উন্নতি হলেও যত দ্রুত সম্ভব।