কিডনি ও মূত্র রোগ, নিরাপদ চিকিৎসা

ইউরিনারী ট্রাক্ট ইনফেকশন ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।

ইউরিনারী ট্রাক্ট ইনফেকশন 

অনির্দিষ্টভাবে ইউরিনারী ট্রাক্ট এর যে কোন স্থানের ( কিডনী, ইউরেটার, ইউরিনারী ব্লাডার, ইউরেথ্রা ) ইনফেকশনে ইউনিরারী ট্রাক্ট ইনফেকশন বলা হয়।

লক্ষণ

১. বার বার প্রস্রাবের বেগ হওয়া।

২. বার বার তবে পরিমানে কম প্রস্রাব হওয়া।

৩. প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া অনুভব।

৪. ডিজইউরিয়া (প্রস্রাবের সময় ব্যথা অনুভব।)

৫. অসাড়ে মূত্র ত্যাগ

৬. দুর্গন্ধযুক্ত মূত্র

৭. ঘোলাটে মূত্র

৮. সুপ্রাপিউবিক অঞ্চলে ব্যথা,

৯. পাইরেক্সিয়া (জ্বর) যেখানে রাইগর (কাঁপুনি) থাকতেও পারে আবার নাও

থাকতে পারে।

১০. নসিয়া (বিষমিষা) যেখানে বমি থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে।

 

প্রাথমিক চিকিৎসা

সাধারণ ব্যবস্থাপনা

লেবুপানি শরবত পান করা: এক গ্লাস পানিতে সামান্য লবন ও এক – দুই চা চামচ পরিমান লেবুর রস মেশাতে হবে। এভাবে দিনে ৬-৮ গ্লাস লেবু পানি পান করতে হবে।

 

ঔষধ:

ক) এন্টিবায়োটিক

এ জেনেরিক: সিপ্রোপ্রোফ্লোক্সাসিন; (ciprofloxacin)

ব্র্যান্ড -সিপ্রোপ্রোসিন (ciprocin) প্রস্তুতকারক স্কয়ার

ডোজঃ

প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮বছরের উর্দ্ধে ) : ৫০০-৭৫০ মিগ্রা দিনে ২ বার কমপক্ষে ৭ দিন।

শিশুদের ক্ষেত্রে ; সর্বোচ্চ মাত্রা : ৫-১৫ মিগ্রা/কেজি, ১২-১৮: ২০ মিগ্রা কেজি

| গড় একক মাত্রা ১-৩ বছর ১২৫ মিগ্রা, আধা চামচ দিনে দুইবার ৪-৬ বছর ১৬০ মিগ্রা। এক চামচের তিনভাগের দুই ভাগ দিনে দুই।

| বয়স।

৭-৯ বছর।

২৫০ মিগ্রা

১ চামচ বা একটি ২৫০ মিগ্রা ট্যাবলেট দিনে দুই বার। প্রাপ্ত বয়স্কদের মাত্রা।

১০-১২ বছর

 

 

খ) অন্যান্য লক্ষণ ভিত্তিক ঔষধ- যেমন

জ্বরের জন্য : এন্টিপাইরেটিক (শ্বাসতন্ত্রের রোগ দ্রষ্টব্য)

বমির জন্য: এন্টিইমেটিক (পরিপাকতন্ত্রের রোগ দ্রষ্টব্য)

পেট বেদনা: একাধিক ঔষধ (উল্লেখ করা হয়েছে)

 

এতে সমস্যার সমাধান না হলে ইউরোলজিস্ট কিংবা মেডিসিন/সার্জারী বিশেষজ্ঞ কিংবা এমবিবিএস চিকিৎসকের নিকট পেরণ করতে হবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *