নিরাপদ চিকিৎসা, স্নায়ু ও মাংসপেশীর রোগ

কাঁপুনি রোগ ও সকল পদ্ধতির ডাক্তারদের বক্তব্য।

কাঁপুনি

সাধারণত শীতল আবহাওয়ায় বা জ্বর হলে কাঁপুনি হয় এ ক্ষেত্রে কাঁপুনি সার্বদৈহিক। তবে স্নায়ু রোগের ক্ষেত্রে কাঁপুনি আঙ্গিক বা সার্বদৈহিক হতে পারে। স্নায়ু জণিত কাঁপুনির কারণসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- পারকিনসনিজম, হাংটিংটন ডিজিজ, নিউরোসিফিলিস, মাল্টিপল ফ্লেরোসিস, গ্লাভস ডিজিজ, ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এলকোহল, উইথড্রল সিনড্রোম, মারাত্বক মেটাবলিক সমস্যা, মানসিক সমস্যা ইত্যাদি।

 

কাঁপুনি ও খিচুনি এক বিষয় নয়। খিচুনির ক্ষেত্রে রোগীর চেতনা লোপ পায় এবং দেহের মাংসপেশি সংকোচন ঘটে। কাঁপুনি হলে রোগীর চেতনা লোপ পায় না এবং আক্রান্ত স্থানের পেশি কাঁপতে থাকে। তবে রোগীর শীতঅনুভূতির কারণে সার্বদৈহিক কাঁপুনি হলে রোগীর সারা দেহের পেশি কাঁপতে থাকে তবে সেখানে মাংসপেশির সংকোচন হয় না।

 

এ ধরনের কাঁপুনি (হাত-পা, অন্যান্য কোন অঙ্গ, সারা দেহ) হলে পরিপূর্ণ রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা করতে হবে বিধায় এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে রোগীকে একজন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ কিংবা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কিংবা এমবিবিএস চিকিৎসকের নিকট প্রেরণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *